“সব ধর্ম‌ই এক! শিব আর সাঁইবাবা এক, শক্তি একটা”— গভীর বিশ্বাসে ভর করে মন্তব্য চুমকি চৌধুরীর! পুজোর দিনে এমন কী অলৌকিক ঘটনা ঘটল অভিনেত্রীর জীবনে, যা দেখে তিনি সব ঠাকুরের শক্তিকে এক বলে মনে করেন?

বাংলা সিনেমার একসময়ের জনপ্রিয় মুখ চুমকি চৌধুরী। পরিচালক অঞ্জন চৌধুরীর কন্যা হিসেবে তিনি ছোটবেলা থেকেই সিনেমার জগতে বেড়ে উঠেছেন। ১৯৯০ সালে হীরক জয়ন্তী সিনেমার মাধ্যমে রূপালী পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেছিলেন তিনি। এরপর একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়ে তিনি দর্শকদের মন জয় করেছেন। তবে এবার কোনও সিনেমা নয়, এক সাক্ষাৎকারে ব্যক্তিগত জীবনের এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতার কথাই শেয়ার করলেন অভিনেত্রী।

চুমকি জানান, তাঁদের বাড়িতে সবাই কালী মায়ের ভক্ত। সেই বাড়িতে হঠাৎ করে সাঁইবাবার উপস্থিতি যেন এক রহস্য। পূজোর সময় তিনি প্রতি বছর বাবাকে সাড়ে তিন মিটার কাপড় দেন। কিন্তু এ বছর একটু দেরি হয়ে যায়। তৃতীয়ার দিন যখন কাপড় নিয়ে যান, তখন তাঁকে জানানো হয়, জমা নেওয়া সম্ভব নয়।

অভিনেত্রী জানান, সেই মুহূর্তে তিনি সাঁইবাবার দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলেন, “বাবা, তুমি তো এবার আমার কাপড়টা পড়লে না।” এরপর ঘটে যায় অবিশ্বাস্য এক ঘটনা। হঠাৎ এক ভদ্রলোক এসে বলেন, “শুনুন তো, কাপড়টা দিন।” এবং সেই কাপড়ই পরে নেওয়া হয় বাবার গায়ে!

চুমকি বলেন, আশ্চর্যের বিষয় হল, বাবার মাথায় যে পাগড়ি সেদিন ছিল, সেটিও তাঁর কেনা কাপড়েরই অংশ। এই ঘটনার পর থেকেই তিনি আরও বেশি বিশ্বাস করতে শুরু করেন যে, “কারও কাছে শিব, কারও কাছে সাঁইবাবা, কিন্তু আসলে একটাই শক্তি।”

আরও পড়ুনঃ “যাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে কটূক্তি করেন, দেব তাঁদেরই নিয়ে ছবি বানান! তাঁদের মধ্যেই প্রতিভা খুঁজে পান বাংলার মেগাস্টার” দেবের বিরুদ্ধে কটু’ক্তি কুনাল ঘোষের

অভিনেত্রীর এই বক্তব্য ছুঁয়ে গেছে বহু ভক্তের মন। কেউ বলছেন এটি অলৌকিক, কেউ আবার বলছেন এটা নিছক কাকতালীয় ঘটনা। তবে চুমকি চৌধুরীর কাছে এটি এক অমলিন অভিজ্ঞতা—যা তাঁকে মনে করিয়ে দিয়েছে, “ধর্ম ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু শক্তি একটাই।”

You cannot copy content of this page