ঋজুর জন্য‌ই সেই দিন প্রাণে বেঁচেছিলাম! আজ সত্যি মনে হয় অভিনয় ছেড়ে দিয়ে ভালোবাসি! না হলে ওর মতই পরিস্থিতি হত, প্রাক্তন সহকর্মীকে নিয়ে অকপট তিতাস

একসময়ে বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় মুখ ছিলেন তিতাস ভৌমিক। ‘তোমায় আমায় মিলে’র ‘কাকলি’ এবং ‘জ্ঞানদানন্দিনী’য় তাঁকে মনে রেখেছেন বহু দর্শক। কিন্তু সেই পরিচিত মুখ এখন অভিনয় দুনিয়া থেকে অনেকটাই দূরে। চুল কেটে নতুন লুকে ফিরেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর সেখানেই আবারও কটাক্ষের বন্যা! তবে তিতাসের মনোভাব একেবারেই অন্য— “ভাগ্যিস অভিনয় ছেড়ে দিয়েছি!” এই মন্তব্যই যেন নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

কেন অভিনয় ছেড়েছিলেন তিনি? তিতাসের খোলাখুলি উত্তর— সন্তান জন্মের পর পুরোপুরি বদলে গিয়েছিল অগ্রাধিকার। সংসার আর ছেলেকে সময় দিতে দিতে অভিনয় থেকে দূরত্ব তৈরি হয়েই গেল। তার উপরে একই ধরনের চরিত্র, একঘেয়ে গল্প— সব মিলিয়ে আর উৎসাহই খুঁজে পাননি তিনি। হাসতে হাসতে বললেন, “যে চরিত্রে আমাকে খাবারে বিষ মেশাতে হবে বা শাশুড়ি-বৌমার ঝগড়া— সেসব করতে আর ভাল লাগে না!”

আর ঠিক এই সময়েই সামনে আসে সহ-অভিনেতা ঋজু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়টি। নানা নারীর সঙ্গে ব্যক্তিগত বার্তা পাঠিয়ে হেনস্থার খবর ঘুরছে নেটমাধ্যমে। স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে— ঋজুর পরিণতি দেখেই কি তিতাসের এই সিদ্ধান্ত? প্রাক্তন সহ-অভিনেতাকে নিয়ে কিন্তু একেবারেই নেতিবাচক কিছু বলতে নারাজ তিনি। বরং তিতাস জানালেন, শুটিংয়ের সেটে একদিন অসুস্থ হয়ে পড়ার সময় ঋজুই তাঁকে বাঁচিয়েছিলেন। পরিচালক যখন জোর করেও তাঁকে শুটিং করাতে চাইছিলেন, তখন ঋজু সাফ বলেছিলেন— “তিতাস আজ বাড়ি যাবে, আমরা রাতভর শুট করব।”

২০২৩ সালে মা হয়েছেন তিতাস। এখন ছেলেকে নিয়ে দিল্লিতে থাকেন। সামনে আরও এক বদল— শিগগিরই চলে যাবেন জয়পুরে। ফলে অভিনয়ে ফেরা আপাতত তাঁর কাছে কঠিন বলেই মনে হচ্ছে। “ছেলের বয়স এখনো খুব কম। এবং আমি কলকাতায় নেই— অভিনয়ে ফেরার সুযোগই দেখি না,” স্পষ্ট জবাব তাঁর কণ্ঠে।

আরও পড়ুনঃ মহিলারা নজরে আসার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যক্তিগত চ্যাট ফাঁস করছেন! এতে তারাই বোকা প্রমাণিত হচ্ছেন! বিতর্কের আগুনে ঘি দিয়ে এবার ঋজুর পাশে শ্রাবন্তী-পুত্র অভিমন্যু!

নতুন লুকে ছবি পোস্ট করতেই, কেউ প্রশংসা করেছেন আবার কেউ প্রশ্ন তুলেছেন— “তুমি ছেলে না মেয়ে?” তিতাস অবশ্য এসব মন্তব্যকে বাড়তি গুরুত্ব দেন না। বরং খুশি হয়ে বলেন, “যাঁরা আমাকে ভালবাসেন, তাঁরাই যথেষ্ট।” অভিনয়কে বিদায় জানিয়ে পরিবারের সঙ্গে নতুন জীবনে বেশ খুশি প্রাক্তন পর্দাকন্যা। সামনে অভিনয়ে ফেরা হোক বা না-হোক— তিতাসের আত্মবিশ্বাসী পথচলাকে দর্শকের শুভেচ্ছাই সঙ্গে থাকবে!