নবীন প্রজন্মের টলিউডে যেমন কাজের দৌড়ঝাঁপ বাড়ছে, তেমনই বাড়ছে ব্যক্তিগত সম্পর্ককে ঘিরে নানা টানাপোড়েন। বহু অভিনেতা-অভিনেত্রীর জীবনে ক্যামেরার আলো যেমন ঝলমলে, পর্দার আড়ালে ঠিক ততটাই লুকিয়ে থাকে ভাঙাগড়ার গল্প। কাজ, প্রতিযোগিতা, ব্যস্ততা—সব মিলিয়ে সম্পর্কের সমীকরণ বদলে যেতে সময় লাগে না। বিনোদন জগতের এই অস্থিরতার মধ্যেই উঠে এল অভিনেত্রী নবনীতা মালাকারের ব্যক্তিগত তিক্ততার ইঙ্গিত।
টেলিভিশনের পরিচিত মুখ নবনীতা। ‘এই ছেলেটা ভেলভেলেটা’ থেকে ‘আপনজন’, ‘নিম ফুলের মধু’—প্রতিটি ধারাবাহিকেই দর্শকদের কাছে নিজের অভিনয় দিয়ে ছাপ রেখে গিয়েছেন তিনি। জলপাইগুড়ির মেয়ে নবনীতা নিজের জীবনে সংগ্রামের কথা আগেও প্রকাশ্যে বলেছেন। পরিবারকে সামলে, কাজের দুনিয়ায় নিজের জায়গা পাকা করতে হয়েছে তাঁকে। ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা বাড়লেও ব্যক্তিগত জীবনে যে সবকিছু সবসময় মসৃণ ছিল না, তা একাধিকবারই বুঝিয়েছেন অভিনেত্রী।
দুই বছর আগে এক সাক্ষাৎকারে নিজের জীবনে বিশেষ একজনের উপস্থিতির কথা বলেছিলেন নবনীতা। জানান, পরিবার পছন্দ করেই ঠিক করেছিলেন তাঁর হবু বর সুমিত মিত্রকে। নবনীতা তখন বলেছিলেন, ‘‘এতদিন একা-একা ছিলাম। মা-বাবাও আর নিতে পারছে না। মানুষটা খুব ভালো, খুব ভাল বন্ধু। সবটাই অ্যারেঞ্জড।’’ সেই সময় নবনীতার কথায় ছিল একধরনের নিশ্চিন্ততা, ছিল ভবিষ্যৎ নিয়ে ইতিবাচক ভাবনা।
তবে সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রীর মুখে শোনা গেল সম্পূর্ণ ভিন্ন সুর। নিজের জীবনের কারও নাম না করেই নবনীতা বলেন, “আমি তাকে একমাত্র বন্ধু ভাবলেও সে আমার মত আরও ১০ জনকে বন্ধু ভেবেছে”। এই মন্তব্য থেকেই বোঝা যায়, কাছের কারও আচরণে গভীরভাবে আঘাত পেয়েছেন তিনি। বন্ধুত্ব হোক বা সম্পর্ক—বিশ্বাসের জায়গায় কোথাও যেন টান পড়েছে। তবে তিনি কি তা স্পষ্ট করে জানাননি অভিনেত্রী।
আরও পড়ুনঃ শীতের শুরুতেই উষ্ণতা ছড়ালেন মনামী ঘোষ! পাহাড়ি রিসোর্টে নীল মনোকিনিতে, লাস্যময়ী রূপে অভিনেত্রীর দিক থেকে চোখ এড়ানো দায়!
শিল্পীর জীবন যতটাই রঙিন দেখায়, বাস্তবে সম্পর্কের এই ওঠাপড়া তাঁদের কাছেই সবচেয়ে বেশি তীক্ষ্ণ হয়ে ধরা পড়ে। নবনীতার এই মন্তব্যে ভক্তদের মনে একটাই প্রশ্ন—ঠিক কী ঘটেছে তাঁর জীবনে? তা যদিও সময়ই বলবে, আপাতত অভিনেত্রী নিজেকে কাজেই ব্যস্ত রাখতে চাইছেন।






