টলিউডের লেডি সুপারস্টার ‘শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়’ (Subhashree Ganguly) তাঁর অভিনয় জীবনের শুরু থেকেই দর্শকের মনে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন। কখনও প্রেমের মাধুর্যে ভরপুর, কখনও শক্তিশালী নারীর ভূমিকায় তো আবার কখনও বৃদ্ধা চরিত্রের চোখ দিয়ে জীবনের নানা সত্যকে ফুটিয়ে তুলেছেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। হইচইয়ের ওয়েব সিরিজ ‘অনুসন্ধান’এ (Anusandhan) তিনি এক সাহসী সাংবাদিকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। দর্শকরা তাঁর নতুন রূপ যথেষ্টই মুগ্ধ, কারণ শুভশ্রীর চরিত্র সবসময়ই কোনও না কোনোভাবে সামাজিক এবং মানবিক দিকের গভীরতা স্পর্শ করেন।
এই সিরিজে শুভশ্রী অভিনীত অনুমিতা সেন শুধু একটি পেশাদার সাংবাদিক নয়। তিনি একজন মানুষ, যিনি নৈতিকতার মাধ্যমে সমাজের অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেন। পেশাকে তার সমাজের প্রতি একটি কর্তব্য হিসেবে দেখেন তিনি। অনুমিতার চরিত্রটি এমন একজনকে চিত্রায়িত করে, যে প্রতিটি প্রতিবেদনকে শুধু সংবাদ বানায় না বরং সত্যের খোঁজে নিজেকে নিঃসংশয়ে ঝুঁকিয়ে দেয়। তার সাহস এবং সততার মিশ্রণ দর্শকের মনে গভীর প্রভাব ফেলেছে, এই নিয়ে সমাজ মাধ্যমে বিস্তর লেখালিখিও হচ্ছে।
সিরিজের মূল বিষয়বস্তু এক মহিলা সংশোধনাগারে হঠাৎ একের পর এক নারীর অন্তঃসত্ত্বা হয়। অনুমিতা যখন এই অস্বাভাবিক ঘটনাটি সংবাদ হিসেবে অনুসন্ধান করতে শুরু করেন, তখন সে বুঝতে পারে যে এর আড়ালে লুকিয়ে আছে আরও বড় অন্ধকার। এক সাধারণ রিপোর্টিংয়ের কাজ তার কাছে এক ব্যক্তিগত যাত্রায় পরিণত হয়, আর এই দুঃসাহসী চরিত্রে শুভশ্রী আরও একবার নিজের জাত চিনিয়েছেন। প্রমাণ করে দিয়েছেন, লেডি সুপারস্টার তকমাটা এমনি এমনি মাথা পেতে নেননি।
এদিন এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রীকে জানতে চাওয়া হয়, ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর সাফল্য নিয়ে অনেক আলোচনাই হয়। কেউ বলেন স্বামীর জন্য তিনি এতটা সফল, তো কেউ আবার তাঁর পরিশ্রমকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন। তবে, ধারাবাহিকভাবে এত সফল কাজ দেখে, ইন্ডাস্ট্রির কেউ কি হিংসা করে শুভশ্রীকে? অভিনেত্রী জানান, তাঁর এমনটা মনে হয় না। কারণ, টলিউড ইন্ডাস্ট্রিটা খুবই ছোট আর যতটা সম্ভব সবাই একে অপরের পাশে থাকারই চেষ্টা করেন। এরপর প্রশ্ন করা হয়, সিরিজে তিনি একজন সাংবাদিক, বাস্তবেও এত বছর ধরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন বিভিন্ন সময়।
আরও পড়ুনঃ “সেদিন আমার পোশাক পরিপাটি থাকলে, ওরা এসব করতে পারত না!” “আমাকে নিয়ে যে এইসব চলছে সেটা অনেক পরে জেনেছি!” ভাইরাল ভিডিওর পর মুখ খুলে অভিনেত্রী সুমি, পূর্ব বর্ধমানের আসল গল্প আনলেন সামনে! মানসিক ভারসাম্যহীনতার অভিযোগ ছিল নিছক ভুল বোঝাবুঝি?
কখনও কি সাংবাদিকদের কারণে অস্বস্তিতে পড়েছেন তিনি? সকালে উঠে সমাজ মাধ্যম খুলতেই নিজের নামে প্রকাশিত কোনও খবর ব্যথিত করেছে কি তাঁকে? উত্তরে অভিনেত্রী কিছুটা বিতর্কিত ভঙ্গিতেই বলেন, “সাংবাদিকদের তুলনায় ইন্ডাস্ট্রির লোকেরাই আজকাল আমাদের নিয়ে কাটাছেঁড়া করেন সমাজ মাধ্যমে। বিভিন্ন রকম লেখা লেখেন। যদিও সেই সব নিয়ে ভাবার খুব একটা সময় আমার কাছে নেই।” এদিন অভিনেত্রী আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন, নিজের সীমারেখা তিনি মেনে চলেন, অন্যের ক্ষেত্রেও সেটাই আশা রাখেন।






