টলিপাড়ার বিখ্যাত প্রযোজক সুশান্ত দাসের বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব আনার মিথ্যা অভিযোগ করেছে খড়কুটোর চিনি!এবার রাগে ফেটে পড়লেন রিমঝিম মিত্র

একটুখানি খ্যাতি পাওয়ার জন্য মানুষ কত কী না করে। এটা আরো একবার প্রমাণ হতে চলেছে টলিপাড়ায়। গতকাল সকাল থেকে টলিপাড়ার একটু খবর নিয়ে বেজায় সরগরম টলিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রি। খড়কুটো সিরিয়ালে এখন যিনি চিনির ভূমিকায় অভিনয় করছেন সেই প্রিয়াঙ্কা মিত্র গতকাল একটি নামী সংবাদমাধ্যমে অভিযোগ জানিয়েছিলেন যে, তার প্রথম সিরিয়ালের প্রযোজক-পরিচালক তাকে টানা কু প্রস্তাব দিতেন আর তিনি ভয়ে লুকিয়ে বেড়াতেন।

আর তারপরে এই নিয়ে শোরগোল শুরু হয় কারণ চিনি অর্থাৎ প্রিয়াঙ্কা মিত্রের প্রথম সিরিয়াল ছিল ছদ্মবেশী। আর এই সিরিয়ালের প্রযোজক ছিলেন বিখ্যাত সুশান্ত দাস এবং পরিচালক ছিলেন পীযূষ ঘোষ।আজ সকালে সুশান্ত দাস একটি লম্বা পোস্ট করেন এবং তিনি সেখানে স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে প্রিয়াঙ্কার এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

প্রিয়াঙ্কা অভিনয় একদম পারতেন না সেইজন্য বিরক্ত হয়ে তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছিল।পরিচালক-প্রযোজকের বিরুদ্ধে এরকম নোংরা অভিযোগ এনে তিনি মোটেও ভাল কাজ করেননি এবং সমস্ত প্রমাণ সহ তাকে রেডি থাকতে হবে কারণ বিষয়টি নিয়ে তিনি খুব সম্ভবত আদালতে যাবেন।

আর তারপরেই সুশান্ত দাস কে সমর্থন জানিয়ে একের পর এক অভিনেতা-অভিনেত্রীরা সুশান্ত দাস এর সঙ্গে নিজেদের কাজ করার অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করতে থাকেন। আলতা ফড়িং, গ্রামের রানী বীণাপাণি,কৃষ্ণকলি, অপরাজিতা অপু, উমা সহ একাধিক ধারাবাহিকের প্রযোজক সুশান্ত দাস। সেই সকল সিরিয়ালের অভিনেতা অভিনেত্রীরাই বলছেন যে সুশান্ত দাস এরকম কোনোদিনও করতে পারেন না।

অভিনেত্রী রিমঝিম মিত্র কিছুক্ষণ আগে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন যদিও তিনি সেটি ডিলিট করে দিয়েছেন এখন কোন কারণে হয়তো।সেখানে তিনি স্পষ্ট লিখেছিলেন যে আমি শপথ করে বলতে পারি সুশান্ত দাস এবং পীযূষ ঘোষ কোনভাবেই এই কাজ করতে পারে না। যেভাবে এই নতুন মেয়েটি যাকে আমি চিনিও না নিজেকে নিচে নামালো এই কাজটি করে তা কহতব্য নয়। সুশান্ত দাস এর সঙ্গে তিনি অনেক কাজ করেছেন সেটাও তিনি লিখেছেন।

Priyanka Mitra

স্বাভাবিকভাবেই যখন রিমঝিমের মত বড় তারকার সুশান্ত দাস এর পাশে এসে দাঁড়িয়েছে তখন কোথাও গিয়ে হয়তো সকলের মনে হচ্ছে যে দোষটা আসলে প্রিয়াঙ্কা মিত্রের। তাই আসল ঘটনাটা কী এটা জানার জন্য আমাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে।