একদিন বড় টি-ক্যাফের মালকিন হওয়ার স্বপ্ন বুকে নিয়ে খুলেছেন চায়ের দোকান। রাস্তার পাশে চাকা লাগানো গাড়িতে চা বানাতে বানাতে শীতের সন্ধেবেলায় চায়ের গনগনে আঁচে ঝালিয়ে নিচ্ছেন নিজের স্বপ্ন। ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর এই তরুণীর ছোট্ট চায়ের ঠেক পথ চলা শুরু করেছে এইমাত্র তবে তরুণী ভাইরাল হয়ে গেছেন ইতিমধ্যেই।
দিল্লি ক্যান্টনমেন্টের গোপীনাথ বাজারে চায়ের ঠেক খোলা শর্মিষ্ঠা আগে চাকরি করতেন ব্রিটিশ কাউন্সিলে। তবে নিজের স্বপ্নকে সত্যি করতে সেই চাকরি ছেড়ে দিলেন। এই তরুণ তুর্কির স্বপ্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন ভারতীয় সেনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার সঞ্জয় খন্না৷ তিনি লিখেছেন কৌতূহলী হয়ে ওই মেয়েকে তিনি জিজ্ঞাসা করেছিলেন এই দোকান খোলার কথা। তিনি জানান তার একদিন বড় সংস্থার কর্ণধার হওয়ার ইচ্ছে রয়েছে।
শর্মিষ্ঠার বান্ধবী ভাবনা রাও এই ছোট্ট চায়ের দোকানের যৌথ কর্ণধার যিনি লুফৎহনসা উড়ান সংস্থায় কর্মরত। শর্মিষ্ঠাকে তার দোকানের কাজে সাহায্য করে তার গৃহ সহায়িকা। অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার সঞ্জয় খন্না আজকে তরুণ সমাজকে উৎসাহিত করতে এই বার্তা দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ছোট বা বড় চাকরি বলে কিছু হয় না এমনটাই মনে করেন তিনি। অন্যদের উদ্দীপ্ত করার জন্য মানুষের নিজের সবার আগে উজ্জ্বল হয়ে ওঠা দরকার এবং সেই সঙ্গে দরকার নিজের ইচ্ছা শক্তি যা শর্মিষ্ঠার মধ্যে রয়েছে ভরপুর।
আজকের দুনিয়ায় যেখানে চারিদিকে শুধু চাকরি নেই চাকরি নেই, কর্মহীনতা, বেকারত্বের গ্লানি, সেখানে এক টুকরো নিজের আকাশ তৈরি করেছেন শর্মিষ্ঠা। তার লড়াই মন জয় করেছে সোশ্যাল মিডিয়ার। তাই তো ভাইরাল হয়ে গেছেন তিনি মুহূর্তের মধ্যে। গোপীনাথ বাজারে তাঁদের দোকানে যাওয়ার ইচ্ছেও প্রকাশ করে ফেলেছেন অনেকেই কমেন্ট বক্সে।