আমরা যারা মধ্যবিত্ত পরিবারের বড় হয়েছি তারা ছোট থেকে ঘরের অনেক কাজকর্ম জানি। বাবা মায়েরা আমাদের শিখিয়েছে নিজেদের কাজগুলো নিজেদের করতে। সেজন্যে যারা নিম্নবিত্ত বা মধ্যবিত্ত পরিবারে বড় হয়েছে তারা নিজেদের কাপড় কাছে থেকে শুরু করে নিজেদের মতো রান্না করা এগুলো করে নিতে পারে। মেয়েরা তো পারেই সেই সঙ্গে অনেক ছেলেও এসব কাজ জানে। তবে সাধারণ মানুষের মনে একটা ধারণা অনেকদিন আগে থেকেই জন্ম নিয়েছে যে সেলিব্রিটি মানুষদের ছেলেমেয়েরা বোধহয় কিছু পারে না। তাদেরকে সবকিছুই বাড়ির কাজের লোকরা করে দেয়।
কথাটা কিছু ক্ষেত্রে সত্যি বিশেষ করে বলিউডের যেসব তারকা সন্তানদের আমরা দেখি তাদের দেখে মনে হয় না যে তারা ঘরের কোন কাজকর্ম পারেন। সারাদিন দামি ফোন দামি গাড়ি বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে পার্টি এসবেই ব্যস্ত থাকেন তারা। তবে এই বাংলায় কিছু সেলিব্রিটি আছেন যারা এখনো মাটিতে পা রেখে চলেন এবং নিজেদের সন্তানদের তারা সুশিক্ষা দিচ্ছেন যার প্রমাণ আমরা পাই তাদের সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইলে।
এমনই একজন হলেন রান্না ঘরের সঞ্চালিকা এবং চিত্রনাট্যকার সুদীপা চ্যাটার্জী। তিনি পরিচালক অগ্নিদেব চ্যাটার্জির স্ত্রী এবং এবং এক ফুটফুটে পুত্র সন্তান আদিদেব চ্যাটার্জির মা। বালিগঞ্জে বিশাল বড় বাড়ি অগ্নিদেব এবং সুদীপার। সুদীপা নিজের বিনোদন জগতের সঙ্গে যুক্ত সেই সঙ্গে তার ব্যবসাও রয়েছে। তিনি শাড়ির ব্যবসা করেন, তার একটি বড় রেস্তোরাঁ রয়েছে কলকাতায়। অর্থাৎ পয়সার কোন অভাব নেই তার জীবনে কিন্তু ছেলেকে তিনি বিগড়ে দেননি। ছোট থেকেই আদিদেবকে তিনি শেখাচ্ছেন নিজের কাজ কিভাবে নিজে করতে হয়।
এর আগে আমরা আদিদেব কে দেখেছি বাজারে গিয়ে ফল আনতে। আবার সেই স্কুল ড্রেস পরে পায়ে হেঁটে স্কুল যায়।সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় যেখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি আদিদেব রান্না করছে। অবশ্যই তাকে মা সুদীপা সাহায্য করছে কিন্তু ছোট্ট ছোট্ট হাতে তার কেক বানানোর ভিডিও দেখে আপ্লুত নেটিজেনরা।
View this post on Instagram
এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে মাকে কাপকেক বানাতে সাহায্য করছে ছোট্ট আদিদেব।সুদীপা লিখেছেন যে বাচ্চাদের যদি এরকম একটিভিটিজ এর মধ্যে ব্যস্ত রাখা যায় তাহলে তাদের শরীর মন দুইই সচল থাকবে এবং তারা কাজ করতে শিখবে।সুদীপার এরকম ভাবনাকেই বাহবা জানাচ্ছেন নেটিজেনরা এবং বলছেন যে এত বড় সেলিব্রিটি তাও কোন অহংকার নেই।