এক মাসের মধ্যেই দেখা, বিয়ে! স্বামীর থেকেও বেশি পছন্দ হয়েছিল শাশুড়িকে! অকপট অপরাজিতা

তিনি বাংলা অভিনয় জগতের তারকা, তবে তার তারকাসুলভ আচরণ নেই বললেই চলে। উল্লেখ্য, পরিবার-পরিজনদের নিয়ে থাকতে বিশ্বাসী অভিনেত্রী। ২৭ বছর ধরে পরিবার পরিজনদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে থাকছেন তিনি। ‌সবাই পরিবার ছোট করছে সেখানে সব পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে হৈ হৈ করে থাকেন অপরাজিতা আঢ্য (Aparajita Auddy)।

যখন প্রথম এই বাড়িতে পা দিয়েছিলেন তখন অনেক ঝড়ঝাপ্টা সামলাতে হয়েছিল, পিছনে ফিরে দেখলে কি স্মৃতি মনে পড়ে? অপরাজিতা আঢ্য বলেন, “সবাই বলেছিল তোমার বাড়ির লোক তোমায় ধরে নিয়ে চলে যাবে। বিয়ের সময় সত্যিই অশান্তি হয়েছিল। মা একেবারেই মেনে নেননি। যেদিন থেকে এই বাড়িতে এসেছি অনেক আরাম পেয়েছি। এই বাড়ি আমাকে অনেক মানসিক শান্তি দিয়েছে।”

অভিনেত্রীর (Aparajita Auddy) শাশুড়ির সাথে দেখা হওয়ার দিন প্রসঙ্গে বলেন, “২৬ শে জুন আমাদের আলাপ হয়েছিল। তারপর আমি বাড়িতে আসি এবং শাশুড়ি মায়ের সাথে আমার আলাপ হয়। আমার শাশুড়ি বলে, ‘তুমি এত সুন্দর তুমি কিন্তু আমার ছেলেকে বিয়ে করো না, ভুল করবে। আমার ছেলে তোমার থেকে বয়সে অনেক বড় এবং আমরা মধ্যবিত্ত পরিবার।‌ তুমি তো রাজরানী হবে।’ কিন্তু আমি কোনদিন রাজরানী হতে চাইনি বড়লোকদের আমি এখনও ভয় পাই। তখন আমার শাশুড়িকে ভীষণ ভালো লাগে। আমার মনে হয়েছিল আমি যদি কিছু করতে চাই, এই বাড়িটা হচ্ছে আমার সেই রাস্তা। তারপর এক মাসের মধ্যেই ২৬ শে জুলাই আমাদের রেজিস্ট্রি হয়। ৮ই আগস্ট আমাদের বিয়ে হয়ে যায়।”

শাশুড়ি মাকে আগলে রাখেন অভিনেত্রী। কিভাবে পরিবারের সঙ্গে থাকেন এই প্রশ্নের উত্তরে অভিনেত্রী জানান, “ফ্যামিলিতে না থাকলে জীবনটা কেমন হতো জানিনা। আমি একটা পরিবারের মধ্যে থাকি আমি সম্পূর্ণ স্বাধীন, কিন্তু একটা শৃঙ্খলা আছে। একটা সম্পর্ক যদি স্বার্থের হয় সেটা খুব বেশি হলে তিন থেকে চার বছর টিকতে পারে। আমরা প্রত্যেকে একে অপরের পরিপূরক। আমি পাড়া কালচার ছাড়া বাঁচতে পারব না। এ জায়গায় না থাকলে আমার মনে হয় না জীবিত জায়গায় আছি বা কোন সজীব জায়গায় আছি।”

আরও পড়ুন:রং বিবাদ! ফের স্বমহিমায় লাবণ্য সেনগুপ্ত, চাপা রঙের মেয়েকে দেখেই ক্ষেপে উঠলো সে

সাক্ষাৎকারে অপরাজিতা আঢ্য নিজের মাতৃত্ব নিয়ে কথা বলেছেন। দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনে সন্তানের অভাব গ্রাস করেনি অভিনেত্রীকে (Aparajita Auddy)। এক নতুন সন্তান এসেছে তার জীবনে। ‌ অপরাজিতা বিশ্বাস করেন বায়োলজিক্যাল মা হলেই মা হওয়া যায় না। এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‌”মা না হওয়ার কোন আক্ষেপ নেই কারণ আমার ভীষণ ভালো মেয়ে আছে। যে মেয়ে আমাদের সাপোর্ট করে, আগলে রাখে। আমার বায়োলজিক্যাল চাইল্ড হলেও সে জায়গা দিতে পারতো কিনা জানিনা। কেউ গার্গী হতে পারত না। বায়োলজিক্যাল মা হলেই মা হওয়া যায় না। মা হয়ে উঠতে হয়।”