Sandhyatara:আকাশ রক্ত দেবে সন্ধ্যাকে! পারবে কি বাঁচাতে? আসছে নতুন মোড়
স্টার জলসার (Star Jalsha) একটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল ‘সন্ধ্যাতারা’ (Sandhyatara)। ধারাবাহিকটি আসার পর থেকে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছে এই গল্প। ধারাবাহিকে রয়েছেন সন্ধ্যার (Sandhya) ভূমিকায় অন্বেষা হাজরা (Annwesha Hazra)। যাঁর অভিনয় দর্শকদের বরাবরই খুব পছন্দ। ধারাবাহিকের নায়িকা দুইজন, সন্ধ্যা ও তারা। দুজনেই ভালোবেসে ফেলে আকাশনীল (Akashneel) নামের ছেলেকে। তবে তারা (Tara) তার মেজদি সন্ধ্যার জন্য নিজের ভালোবাসাকে ত্যাগ করে।
মায়ের কথায় আকাশ সন্ধ্যাকে বিয়ে করে নিলেও সন্ধ্যাকে পছন্দ করে না আকাশ। আকাশের মনে এখনও তারা রয়েছে। সে তাই সন্ধ্যাকে ডিভোর্স দিয়ে তারাকে বিয়ে করতে চায়। এদিকে তারা প্রথম থেকেই আকাশকে এড়িয়ে চলছে। সন্ধ্যা জানে না আকাশ যাকে ভালোবাসে, সে সন্ধ্যার বোন তারাই। সন্ধ্যা আকাশকে কোনোভাবেই ডিভোর্স দিতে চায় না। আকাশ যাতে কলকাতা না যায়, তাই একের পর এক কান্ড ঘটায় সন্ধ্যা।
তারা মেসে আকাশের মুখোমুখি সন্ধ্যা
সন্ধ্যার এক একটা কান্ড দর্শকমহলে বেশ হাস্যরসের সৃষ্টি করেছে। সব মিলিয়ে ধারাবাহিকটি বেশ জমে উঠেছে। সন্ধ্যা তারাকে বলেছে, আকাশের প্রেমিকার খোঁজ করতে। আর তারা আকাশের সেই প্রেমিকার ভুল পরিচয় দিয়েছে সন্ধ্যাকে। এদিকে আকাশ তারাকে ফোনে না পেলে কলকাতায় সরাসরি দেখা করার জন্য রওনা দেয়। তখনই আকাশকে পিছু করে সন্ধ্যা। তারপর সন্ধ্যা ও আকাশ দুজনের তারার মেসে আসে। একে ওপরের সাথে তাদের দেখা হয়। যদিও পরিস্থিতি কোনোভাবে সামলে যায়। সন্ধ্যা আকাশ কেউ আসল সত্যিটা জানতে পারে না।
বড় দুর্ঘটনার সম্মুখীন সন্ধ্যা
তারা কোনওভাবে মেজদির সংসার ভাঙতে চায় না, তাই সে সন্ধ্যার থেকে সব লুকিয়ে গিয়েছে। এবার আকাশকে জোর করে কলকাতা থেকে সন্ধ্যা ফেরাতে চায়। সন্ধ্যা আকাশকে বলে, তাকে এক মাসের জন্য সময় দিতে। তারমধ্যেই সে আকাশের মতো নিজেকে তৈরী করবে। আকাশ রাজি না হলেও সন্ধ্যাকে নিয়ে গ্রামে ফিরতে সে বাধ্য হয়। গাড়ি নিয়ে ফেরার সময় আকাশ সন্ধ্যাকে বলে, সে ঠিক একদিন লুকিয়ে পালিয়ে যাবে। আকাশের মুখে ফের পালানোর কথা শুনে সন্ধ্যা খেপে গিয়ে গাড়ি থেকে নেমে দৌড়াতে থাকে। এমন সময় বেখেয়ালি সন্ধ্যাকে একটি গাড়ি ধাক্কা দেয়।
আরো পড়ুন: কমেনি অনুরাগ! সূর্যকে নোংরা অপবাদ দিতেই জ্বলে উঠল দীপা! আবার মার খাবে মিশকা
আকাশ কি বাঁচাতে পারবে সন্ধ্যাকে?
দুর্ঘটনা স্থলে সন্ধ্যা লুটিয়ে পড়ে। আকাশ সন্ধ্যাকে এরূপ অবস্থায় দেখে ভয় পেয়ে যায়। যতই আকাশ সন্ধ্যাকে বউ হিসাবে না পছন্দ করুক, সন্ধ্যার প্রতি এতদিনে সে দুর্বল হয়েছে কিছুটা। সন্ধ্যাকে নিয়ে আকাশ সাথে সাথে হাসপাতালে যায়। দুর্ঘটনার কেস বলে চিকিৎসায় দেরি হলে আকাশ রেগে হাসপাতালে চিৎকার করে। আকাশের ভয়ে সন্ধ্যার চিকিৎসা শুরু হয়। আজ সন্ধ্যার এরূপ অবস্থাতে আকাশের চোখে ভালোবাসা দেখতে পাচ্ছেন দর্শক। তবে কি আকাশ বাঁচাতে পারবে সন্ধ্যাকে? নাকি গল্পে আসছে নতুন কোনও মোড়?