স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chhowa)। নারীকেন্দ্রিক ও পারিবারিক ড্রামার মেলবন্ধনে তৈরি এই ধারাবাহিকের নায়িকা দীপার জীবনে উথাল পাথাল। সূর্যের সঙ্গে সম্পর্ক নেই। দুই মেয়েকে নিজের হাতে মানুষ করছে সে। তার মধ্যেই ছোট মেয়ে রূপার বিরল অসুখ। চিকিৎসার জন্য চাই কোটি টাকার। সিঙ্গেল মাদার দীপা সেই টাকা জোগাড় করতে নাজেহাল।
সম্প্রতি ধারাবাহিকের গল্পে, অন্বেষণ নামক একটি বিজনেস কনফারেন্সে যোগ দিতে গেছে দীপা। একটি মহিলা দীপাকে পিক আপের দায়িত্ব নিয়েছে। লাবণ্য সেনগুপ্তকে কথা দিয়েছে সামিট মিটলে দীপাকে ফের ড্রপ করে দিয়ে যাবে সে। ছলেবলে কৌশলে কোনও মতে একা দীপাকে বাড়ি থেকে বের করে এনেছে সে। আর এই দীপার কাল হল।
গাড়ি আর কোনও প্রতিযোগীকে না দেখাতে পেয়ে মনে খানিক সন্দেহ জাগে দীপার। তবে রূপার কথা ভেবে খানিক দমে যায় সে। যাই হোক, পেট চালানো নয়। রূপার চিকিৎসা অর্থ সংস্থানের মূল উদ্দেশ্য। গাড়ি দীপাকে একটি পুরোনো বাড়ি এনে হাজির করে। দীপা এবার বুঝতে পারে এবার কোনও একটা অঘটন ঘটবেই।
তখন দীপার কপালে বন্ধুক তাক করে মেয়েটি। দীপাকে একটি শাড়ি পরতে বলে। ঘরের স্পীকার থেকে কথা বলতে থাকে কুমার। দীপাকে বিপথে চালিত করতে চায় সে। অর্থের টোপ দিতে থাকে। বলে, দীপা চুপচাপ শাড়ি পরে যেন তাদের ‘এন্টারটেইন’ করে। এমন একজনের কাছে দীপাকে তারা পৌঁছে দেবে যে দীপার টাকার অভাব হবে না কোনও কালে।
একথা শুনে কান্নায় ভেঙে পরে দীপা। মনে মনে সাহস সঞ্চয় করে। দুর্বল হবে না সে। টাকার প্রলোভনে কোনও মতে বিপথে চালিত হবে না সে। তারপর দীপাকে নিয়ে অন্য একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হতে থাকে। তখন আর কোনও পথ না দেখে গাড়ি থেকে ঝাঁপ দেয় দীপা। দীপাকে পড়ে যেতে দেখে ছুটে আসে স্থানীয়রা। যা দেখে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতির দল।
আরো পড়ুন: ভাই-বোন থেকে স্বামী-স্ত্রী! সমাজের কটাক্ষ উপেক্ষা করে ৫৩-র কাঞ্চন গাঁটছড়া বাঁধলেন ২৭-এর শ্রীময়ীর সঙ্গে!
কারা এরা? দীপাকে কোন উদ্দেশ্যে তুলে এনেছে এই দুষ্কৃতির দল? পারিজাত সেন না কুমার? রূপার অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে এত বড় প্রতারণা! সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে রবিবারের মহাপর্বে।