Actor Comeback: বাংলা ধারাবাহিকে ফের ‘বিপ্লব’! রামপ্রসাদে নতুন চরিত্র নিয়ে ফিরছেন বর্ষীয়ান ভিলেন
বাংলা সিনেমার শেষ আইকনিক ভিলেন বলা হয় তাঁকে। পজিটিভ চরিত্রের থেকে নেগেটিভ চরিত্রেই তাঁকে বেশি দেখেছে বাঙালি দর্শক।অবশ্যই বুঝতে পারছেন কার কথা বলছি। তিনি হলেন বাংলা সিনেমার শেষ কিংবদন্তি ভিলেন । তিনি অভিনেতা বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়। টলিউড ইন্ডাস্ট্রির প্রতি যাঁর ক্ষোভের অন্ত নেই। আসলে নেহাতই প্রতিবাদী, আদর্শবান এক ব্যক্তিত্ব হলেন অভিনেতা বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়।
তবে মাঝেমধ্যেই এই অভিনেতার বিভিন্ন কথায় বিতর্কের জন্ম হয়। কখনও লীনা গঙ্গোপাধ্যায়কে গুলি করে মারা, কখনও আবার আবির চট্টোপাধ্যায়ের শিক্ষার অভাব রয়েছে মন্তব্য করা কখনও বা হিপোক্রিট বলে অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তীকে অপমান করা। তবে বিভিন্ন সময় তিনি জানিয়েছেন এখনও অভিনয়ের প্রতি সেই একই রকম টান অনুভব করেন তিনি।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই মুক্তি পায় অভিনেতার আত্মজীবনী ‘আমি বিপ্লব’। এই বইয়ের ছত্রে ছত্রে অভিনেতার ৫৩ বছরের অভিনয় জীবনের কাহিনী উঠে এসেছে। এই বইয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে অভিনেতা মাইক্রোফোন হাতে বলেছিন, এই ইন্ডাস্ট্রিতে দীর্ঘ এতগুলো বছর ধরে কাজ করেছেন তিনি। আর সেই সূত্রে তিনি অনেকের বন্ধু হলেও তাঁর কিন্তু কোনও বন্ধু নেই।একইসঙ্গে অকপটে তিনি বলেন, ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর বন্ধুর থেকে শত্রুর সংখ্যা অনেকটাই বেশি।
ওই বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়ের হয়ে মুখ খোলেন অভিনেতা শুভাশিস মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আমি জানি না, কেন বিপ্লবদাকে কাজের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। আমি সমস্ত পরিচালককে অনুরোধ করব বিপ্লবদা কাজ করতে চান, ওঁকে ওঁর যোগ্য কাজ দেওয়া হোক। আর শুভাশিসের কথা প্রসঙ্গে বিপ্লব চ্যাটার্জিও জানান, যত ক্ষণ তাঁর হাত-পা চলছে, তিনি কাজ করতে প্রস্তুত।
আর এবার ফের একবার কাজে ফিরলেন তিনি। আসলে এখনও বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়ের কাজের ভক্ত বহু মানুষ। এখনও তাঁর অভিনয়ের অনুরাগী অনেক বাঙালি। আর তাই ফের একবার তাঁকে পর্দায় দেখার সুযোগ হতে চলেছে টেলিভিশন প্রিয় বাঙালির। ফিরছেন অভিনেতা বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, এর আগে মহাপীঠ তারাপীঠ ধারাবাহিক দেখা মিলেছিল বর্ষীয়ান অভিনেতা বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়ের। এখানে অতিথি শিল্পীর ভূমিকায় দেখা যাবে অভিনেতাক। এখানে বিপ্লব চট্টোপাধ্যায় অভিনীত চরিত্রের নাম কৈলাসনাথ, তিনি এক নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণ। তিনি অন্যায়, অবিচার, কুসংস্কারের সঙ্গে আপোষ করেন না। রামপ্রসাদের বাড়িতে ব্রাহ্মণভোজনে আমন্ত্রিত হন তিনি। আর রামপ্রসাদের স্ত্রী সর্বাণীর হাতের জাদুতে মুগ্ধ হন কৈলাসনাথ। আর এই নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণের কাছ থেকেই রামপ্রসাদ ও সর্বাণী জীবনের সমস্ত বাধা বিপত্তি পেরিয়ে এগিয়ে যাওয়ার আশীর্বাদ প্রাপ্ত হন। দীর্ঘদিন পর এই বর্ষীয়ান অভিনেতাকে আবারও টেলিভিশনের পর্দায় দেখতে পেয়ে খুশি দর্শকরা।