‘কাছের মানুষকে সময় দেওয়ার জন্য সময় বার করতে জানতে হয়’! ‘ঐন্দ্রিলা’হীন জীবন নিয়ে অকপট ‘রামপ্রসাদ’ সব্যসাচী
তিনি একজন সফল অভিনেতা। তবে ধীরস্থির, ভীষণ শান্ত স্বভাবের এই অভিনেতা একজন অত্যন্ত ভালো মনের মানুষও বটে। তিনি অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী (Sabyasachi Chowdhury) । যেমন সুদক্ষ অভিনেতা, তেমনই সুবৃহৎ মনের অধিকারী তিনি। মাটিতে পা রেখে চলা, নির্ভেজাল এই মানুষটিকে এক কথায় ‘খাঁটি রত্ন’ বলে জানে টলিউড ইন্ডাস্ট্রি।
কয়েক মাস আগে প্রেমিকা ঐন্দ্রিলাকে হারিয়েছেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনের এই বিরাট বড় ধাক্কা তাঁকে যেন এক লহমায় আরও কিছুটা শান্ত করে দিয়ে গেছে। জীবনের দর্শন বোধহয় এখন আরও ভালোভাবে উপলব্ধি করেন এই অভিনেতা। বাংলা বিনোদন জগতে ভক্তিমূলক ধারাবাহিকের ক্ষেত্রে প্রযোজক- পরিচালকদের অন্যতম পছন্দ হলেন অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী।
ভক্তিমূলক ধারাবাহিক মহাপীঠ তারাপীঠ শেষ হয়ে যাওয়ার পর আবারও জলসার পর্দায় রামপ্রসাদের মতো সাধক চরিত্র নিয়ে ফিরেছেন তিনি। টাইপকাস্ট হয়ে যাওয়ার ভয় হয় না? অভিনেতার কথায় দুজনেই সাধক হলেও দুটোই কিন্তু ভিন্ন চরিত্র। সম্পূর্ণ ভিন্ন জীবন যাপন তাঁদের। দুজন সম্পূর্ণ আলাদা মানুষ। আর তাই টাইপ কাস্ট হওয়ার ভয় নেই তাঁর।
এই ভক্তিমূলক ধারাবাহিকে সব্যসাচীর বিপরীতে নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করছেন জনপ্রিয় টেলিভিশন অভিনেত্রী সুস্মিলি আচার্য। এর আগে ‘সৌদামিনীর সংসার’, ‘রানী রাসমণি উত্তরপর্বে’ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয়’ করেছিলেন সুস্মিলি। আর এবার তিনিই হয়েছেন সব্যসাচীর নায়িকা। একইসঙ্গে এই ধারাবাহিকে মা কালীর চরিত্র অভিনয় করছেন বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয়তম অভিনেত্রী পায়েল দে। মা কালীর চরিত্রে তাঁর অনবদ্য অভিনয়ে দর্শকদের মন কেড়েছে।
সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকারে জীবন দর্শন নিয়ে কথা বলেছেন অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী। ঐন্দ্রিলাকে হারানোর কষ্টটা আজও তাঁর বলা কথায় তাঁর মুখভঙ্গিতে ফুটে ওঠে। আজকালকার এই ব্যস্ত সমাজে যেখানে পরিবারকে সময় দেওয়াই হয়ে ওঠে না সেখানে অভিনেতা বলেন, ‘আমরা সময় পাইনা বা সময় হচ্ছে না বলে কাটিয়ে দি। কিন্তু কাছের মানুষকে সময় দেওয়ার জন্য সময় তৈরি করে নিতে হয়। সেটা সম্পূর্ণভাবে আমাদের হাতে।’
অভিনেতার কথায়, ‘আমার কাছে আলাদা করে ফাদার্স ডে বা মাদার্স ডে গুরুত্ব পায় না। আমি আলাদা করে তাঁদের জন্য কোনও উপহারও নিয়ে যাই না। তবে এখন চেষ্টা করি পরিবারকে আরও বেশি করে সময় দেওয়ার। বাড়ি থেকে শুটিং সেটে আসতে আমার দু’ঘণ্টা সময় লাগে। যেতেও তাই। কিন্তু আমি চেষ্টা করি এখন বাড়ি থেকেই আসা-যাওয়া করার।’ ঐন্দ্রিলাকে অকালে হারানোর পর এখন নিজের পরিবারকে আঁকড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই চালাচ্ছেন সব্যসাচী।