সময়ের নিয়মে এখন বাংলা টেলিভিশনে আসছে নতুন নতুন মুখ। দেখা মেলে না অনেক পুরনো মুখের। প্রসঙ্গত, অনেককে আবার আমরা কালের নিয়মে ভুলেও গেছি। কিন্তু এমন কিছু কিছু অভিনেতা অভিনেত্রী থাকেন যাঁদের নাম ভুললেও চেহারা আপনি চেষ্টা করলেও ভুলতে পারবেন না। তেমনি এক পরিচিত এবং লোকপ্রিয় বাঙালি অভিনেত্রী হলেন মাফিন চক্রবর্তী (Mafin Chakraborty)।
১৭ বছরের সফল অভিনয় জীবন এই অভিনেত্রীর। ‘টাপুর টুপুর’ ধারাবাহিকের মাফিনের অভিনয় দর্শকদের আজও মনে আছে। এই অভিনেত্রীকে শেষবার দেখা গিয়েছিল কালার্স বাংলার ধারাবাহিক বসন্ত বিলাপ মেসবাড়িতে। কিন্তু মূল ধারার দুই চ্যানেলে তাঁকে আর সেই ভাবে দেখা যায়নি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জনপ্রিয় আঁচল, গোয়েন্দা গিন্নি, কিরণমালা, পটল কুমার গানওয়ালা’র মতো একাধিক ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন মাফিন। পজিটিভ চরিত্রের থেকে নেগেটিভ চরিত্রেই তাঁকে বেশি দেখা গেছে।
তা ফের আবার কবে তাঁকে দেখা যাবে ছোট পর্দায়? উত্তর হচ্ছে খুবই সত্ত্বর। আসলে এই অভিনেত্রীর স্বামী থাকেন বিদেশে। কয়েক মাস আগে সন্তান দত্তক নিয়েছেন। বেড়েছে ব্যস্ততা। কমেছে কাজের জন্য সময়। কিন্তু এবার ফের একবার তাঁকে দেখা যাবে টেলিভিশনের পর্দায়। আকাশ ৮ চ্যানেলে শুরু হতে চলা ‘সাহিত্যের সেরা সময়’-এর সিরিজ অগ্নিপরীক্ষাতে অভিনয় করছেন এই অভিনেত্রী। আশাপূর্ণা দেবীর গল্প অবলম্বনে শুরু হচ্ছ অগ্নিপরীক্ষা।
উল্লেখ্য, এই সিরিজে অভিনয়ে ফিরছেন টেলিভিশনের পর্দা থেকে হারিয়ে যাওয়া আরও এক অভিনেত্রী। ভেরোনিকা মোনা দত্ত। ‘গুড়িয়া যেখানে গুড্ডু সেখানে’ ধারাবাহিকে মূল চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ভেরোনিকা। আর অভিনেত্রীর বিপরীতে অভিনয় করছেন ‘রানী রাসমণি’, ‘মিঠাই’ খ্যাত অভিনেতা বিশ্ব বসু বিশ্বাস। আর এই সিরিজেই দেখা মিলবে মাফিনের। উল্লেখ্য, এই সিরিজটি দেখার জন্য উচ্ছ্বসিত ভক্তরাও।