Kar Kache Koi Moner Kotha Today Episode: জি বাংলার (Zee Bangla) চর্চিত এবং জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Kotha)। শুরু থেকেই ধারাবাহিকটি মন করে এসেছে দর্শকদের। যদিও টিআরপি তালিকায় খুব স্লট দখল করতে ব্যর্থ হয়েছে ধারাবাহিকটি। প্রথমে ধারাবাহিকটি সন্ধ্যে সাড়ে ছয়টায় শুরু হলেও গীতা LLB সঙ্গে টিআরপিতে টক্কর দিতে ব্যর্থ হওয়ায় শিমুল। এরপর ধারাবাহিকটি সময় পরিবর্তন করে ধারাবাহিকটি চলে যায় রাত সাড়ে নয়টার। তবে দীপার সঙ্গেও জিততে পারেনি শিমুল। ফলেই জানা গেছে আবার পরিবর্তন হতে চলেছে ধারাবাহিকের সময়।
তবে সম্প্রতি ধারাবাহিকে এসেছে নতুন মোড়। শিমুলকে মারার চেষ্টা করেছে পলাশ আর প্রতীক্ষা। মধুবালা দেবীর শত চেষ্টা করার পরও কেসটা পৌঁছে যায় আদালত অব্দি। তবে শত চেষ্টা করেও পলাশের বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড় করে উঠতে পারছিলেন না পুলিশ। কেস পলাশের পক্ষে চলে যাচ্ছে দেখে অবশেষে সাক্ষী দিতে রাজি হয় পরাগ। কাঠগড়ায় উঠে সে বিচারপতিকে শোনায় পলাশ কুকীর্তির সমস্ত কথা।
কার কাছে কই মনের কথা আজকের পর্ব ২২ মে (Kar Kache Koi Moner Kotha Today Episode 22 May)
পরাগের পেস করা রেকর্ডিং এবং তার সাক্ষীর ভিত্তিতে শিমুলকে নির্দোষ বলে ঘোষণা করে বিচারপতি এবং পলাশকে ৭ বছরের জেল এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ার কথা বলেন তিনি। সেই কথা শুনেই কান্নাকাটি করতে শুরু করে প্রতীক্ষা। পলাশও চিৎকার করে বলতে থাকে সে নির্দোষ কিন্তু পলাশের কথা না শুনেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের গাড়ির পিছনে দৌড়াতে শুরু করে প্রতীক্ষা।
এদিকে পলাশকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে দেখে আনন্দ উল্লাস করতে থাকে বিপাশা, সুচরিতা এবং শির্ষা। তখনই শিমুলের গলায় মালা পরিয়ে দেয় পাড়ার লোকজন। সবাইকে শান্ত করিয়ে শিমুল প্রতীক্ষাকে বলে এখন তো তোমার স্বামীও নেই আর তোমার চাকরিটাও নেই। তুমি চাইলে আমাদের সঙ্গে ওই বাড়িতে থাকতে পারো। সেই কথা শুনেই রেগে যায় প্রতীক্ষা। সে বলে সে যে করেই হোক পলাশকে ছড়িয়ে আনবে। আর তারপর সে শিমুলকে শায়েস্তা করবে।
আরও পড়ুন: দু’মুখো উদ্যালোককে সহ্য হচ্ছেনা দর্শকদের! বসুবাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কোজাগরী! স্যালুট নেটিজেনদের
প্রতীক্ষার হম্বিতম্বি দেখে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিল শিমুল
শিমুলের ব্যবহার দেখে রেগে গিয়ে বাড়িতে চলে যায় প্রতীক্ষা। বাড়িতে গিয়েই মধুবালা দেবীকে পরাগ এবং শিমুলের বিষয়ে নানা কথা বলতে থাকে সে। বাড়িতে ঢুকতেই শিমুলকে নানা কটূকথা বলতে শুরু করেন মধুবালা দেবী। এরপর প্রতীক্ষাকে শিমুল বলে এইভাবে বাজে কথা বলতে থাকলে তাকে এই বাড়ির থেকে বের করে দেবে সে। মধুবালা দেবীর কথা শুনে শিমুল তাকে বলে এত সবকিছু হয়ে যাওয়ার পরও তিনি কিভাবে প্রতীক্ষাকে সমর্থন করছেন? পরাগ মধুবালা দেবীকে বলে ৭ বছর পর হয়তো পলাশ একজন হয়ে মানুষ হয়ে ফিরবে। তাহলে আপনাদের কি মনে হয়, এবার কি পরিবর্তন হবে মধুবালা দেবীর মন, নাকি আবার তিনি সমর্থন করবেন প্রতীক্ষাকে?