Annwesha Hazra: নিজের দেবীরূপ পোস্ট করে নিজের গুণগান নয়! বাকি সকলে কতটা কষ্ট করে শুটিং করেছে মহালয়ায় সেটা তুলে ধরলেন অন্বেষা!’এইজন্যেই তুমি ভবিষ্যতে এগিয়ে যাবে’, বেজায় খুশি দর্শকরা

আর মাঝে মাত্র একটা দিন তারপর রবিবার আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠবে আলোক মঞ্জরী।ইতিমধ্যেই কলকাতায় বেশ কিছু পুজো উদ্বোধন হয়ে গেছে তাই আকাশে বাতাসে পুজোর গন্ধ ইতিমধ্যেই ভেসে বেড়াচ্ছে। দু’বছর পর প্রাণ খুলে আনন্দ করবে বাঙালি তাই আনন্দটা যেন এবার একটু বেশি। করোনাসুরের চোখ রাঙানো ভয় নেই।

বিনোদন চ্যানেলগুলোতে ভোর পাঁচটা থেকেই সেদিন দেখা যাবে মহিষাসুরমর্দিনী অনুষ্ঠান। তিন ভিন্ন চ্যানেলে তিনজন দুর্গা। জি বাংলায় যেমন দুর্গার প্রচুর রূপ দেখানো হচ্ছে সেরকম সরস্বতী লক্ষ্মীও রয়েছে। এখানে সরস্বতীর ভূমিকায় অভিনয় করছেন আমাদের এই পথ যদি না শেষ হয় এর উর্মি। গতকাল অন্বেষা হাজরা একটি দীর্ঘ পোস্ট করেছেন মহালয়া সম্পর্কে। এবং এর থেকেই স্পষ্ট হয়ে গেছে যে তিনি কতটা বড় মনের মানুষ।

তিনি নিজেকে খুব বাজে পারফর্মার বলেছেন এবং বাকিদের প্রচণ্ড প্রশংসা করেছেন বিশেষ করে তিনি জানিয়েছেন যে তিনি এই বছর প্রথমবার পুরো শুটিং দেখেছেন। বুঝতে পেরেছেন যে কতটা কষ্ট করে এই শুটিংগুলো হয় কারণ এক টেকে তো হয় না। তার ওপর এত রংচং মেখে, গয়না পরে ভারি ভারি জামা কাপড় পরে নাচ করা যে কতটা কষ্টের সেটা ওখানে যে না ছিল সে বুঝবে না। সে নিজে এমনি কুচি করে শাড়ি পরেছিল তাই তার অসুবিধা হয়নি কিন্তু যারা ধুতির মতো শাড়ি পড়েছিল তাদের যে ওয়াশরুম যেতেও কতটা কষ্ট হয়েছে সেটা সে অনুভব করেছে।

বিশেষ করে তুবড়ির কথা সে বারবার উল্লেখ করেছে কারণ মা কালী সাজে যে ভারি ভারি জিনিসপত্র তাকে পরিধান করতে হয়েছে সেই সঙ্গে হেভি মেকআপ তা নিয়ে সারাদিন শুটিং করা তাও আবার নিজের সিরিয়ালের শুটিং সেরে এসে, সেটা যে কতটা কষ্টের যে না করেছে সে বুঝবে না। আর এই কারণেই তাকে দর্শকরা অত্যন্ত ভালোবাসার পরিয়ে দিচ্ছেন যে নিজে কতটা বড় মনের মানুষ হলে বাকিদেরও এতটা প্রশংসা করা যায়।

বাকি নায়িকারা তো নিজেদের নাচের ছবি দিয়ে নিজেদের প্রশংসা করতেই ব্যস্ত কিন্তু অন্বেষা নিজের ছবি দেয়নি। বাকি সকলের ছবি দিয়েছে। বাকি নায়িকারাও অণ্বেষাকে দেখে একটু শিখুন এরকমটাই বলছেন সকলে।