সম্প্রতি জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল ‘বোধিসত্ত্বের বোধবুদ্ধি’। ধারাবাহিকটির গল্প অনেকটাই অন্যরকম বলে দর্শকের কাছ থেকে বেশ ভালোবাসা পেয়েছে এটি। তবে ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করা শিশুশিল্পী রায়ান গুহা নিয়োগীকে দর্শক সবচেয়ে বেশি ভালোবাসা দিয়েছে। ধারাবাহিকে একটি দুর্দান্ত বুদ্ধিমান বালকের চরিত্রে অভিনয় করছে সে। তবে তার মা জানান যে বাস্তব জীবনেও সে অনেকটাই বধির মত।তাই এই চরিত্রে অভিনয় করতে তার খুব একটা অসুবিধা হয় না।
বাস্তবে তার বয়স খুবই কম মাত্র ৭ বছরের ছোট ছেলে রায়ান। গড়িয়ায় বাড়ি এবং সেন্ট লরেন্স স্কুলে পড়াশোনা করে। কিন্তু শুটিং থাকায় সে নিয়মিত স্কুলে যেতে পারে না। তবে পড়াশোনায় ভালো হওয়ায় স্কুলের তরফ থেকে বেশ সহযোগিতা পায় রায়ান। সম্প্রতি একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেন ক্যামেরার বোধি। সেখানেই সে তার পুজোর একাধিক কথাবার্তাও বলে।
রায়ান বলে যে ষষ্ঠীর দিন পর্যন্ত তার প্রায় ১৩ টা ঠাকুর দেখা হয়ে গেছে। গত দুবছর অতিমারির জন্য ভালো করে ঠাকুর দেখতেই পারেনি সে তাই এ বছর কোনরকম খামতি না রেখেই পুজোতে ঠাকুর দেখবেন। তাই পঞ্চমীর দিন তড়িঘড়ি শুটিং শেষ করে বাবা মার হাত ধরে বেরিয়ে পড়েছিল ঠাকুর দেখতে।
রায়ানের কথায়,“আমি এবার অনেক-অনেক ঠাকুর দেখব। আজ দেখব নাকতলা, সুরুচির ঠাকুর। জানো আমার ১৫টা জামা হয়েছে…”এছাড়া সে বলে শুটিং সেটের আঙ্কেল আন্টিরা তাকে অনেক উপহার দিয়েছে পুজো উপলক্ষে। সে কালার পেনসিল সেট, রং, আঁকার খাতা এইসব উপহার পেয়েছে। তারকারণ জামাকাপড়ের থেকে এইসব নিয়েই থাকতে বেশি পছন্দ করে ক্যামেরার বোধি। তার মা আরো জানান যে ঠাকুর দেবতার উপর তার খুবই ভক্তি। তাই দুর্গাপূজো ছাড়া অন্যান্য পুজোতেও আগে ঠাকুরকে পুজো করে তারপরে শুটিংয়ে যায়।