Ponchomi: আর ভুল করে নয়, এবার যেচেই নিজের আসল রূপ ধরা দিল চিত্রা! ঠাম্মির সামনে নিজের রূপ ধরলো কালনাগিনী চিত্রা! গল্প জমে উঠেছে

বহুদিন পর বাংলা ধারাবাহিকে একটি ফিকশনাল গল্প এসেছে। জি বাংলায় (Zee Bangla) নাগদেবতাকে কেন্দ্র করে একটি ধারাবাহিক হল “পঞ্চমী” (Ponchomi)। নাগ-নাগিনী নিয়ে গল্প কিন্তু বাংলা-হিন্দি কোনও ধারাবহিকেই নতুন গল্প নয়। নাগ নাগিনীর গল্পে একটা চেনা একটি প্লট হল যে নাগিনীর কোনও প্রকার কোনও প্রতিশোধ নেওয়ার থাকে, আর তাতেই বাকি গল্প এগোয়।

তবে এই সিরিয়ালের প্রেক্ষাপট একটু আলাদা। গল্পের মোড় এখানে একটু পাল্টে দেওয়া হয়েছে। আর এই কারণেই সেইখানে পঞ্চমী বেশ ভালো মতোই সাড়া পাচ্ছে। কারণ এটা একটু অন্য স্বাদ দিচ্ছে।

প্রথম থেকেই ভালো টি আর পিতে থাকলেও, মাঝে মধ্যে এইসব ফিকশনের চক্করে মাঝে মধ্যেই দেদার ট্রল হতে হচ্ছে ধারাবাহিকটিকে। কিন্তু তাতেও ধাঁচ অন্য হচ্ছে। গল্পকে একটু অন্য স্বাদে আনতে তো ভালোরকম টুইস্টই আনা হয়েছে। দর্শক বেশ ভালো মতোই কনফিউজ।

প্রসঙ্গত গল্প এগিয়ে যাচ্ছে বেশ সুন্দরভাবেই। গল্পে পঞ্চমী ইচ্ছাধারী নাগিন এবং চিত্রা হলেন একজন কালনাগিনী। আসলে পঞ্চমীকে পাঠানো হয় তাঁর মায়ের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য। কিন্তু পঞ্চমী সেসব কিছু চায় না। তাই চিত্রাকে পাঠানো হয়েছে এই কাজ করতে। আর এর মাঝে টানাটানি পড়ে যায় কিঞ্জলকে নিয়ে।

ধারাবাহিকে মাঝে মধ্যেই চিত্রার মতলব নিয়ে বেশ ভালো মতোই একটি টুইস্ট আনা হয়। যদিও এর মাঝে জানা যায়, কিঞ্জলের একটি দিব্য শক্তি আছে। তাঁর যার সঙ্গে মিলন হবে, তার গর্ভে যে বাচ্চা আসবে, সেই বাচ্চার একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য থাকবে। আর এটিই এই ধারাবাহিকের অন্যতম মেইন টুইস্ট।

সেই বৈশিষ্ট্যটি হল যে ওই বাচ্চার মাথায় নাগমণি থাকবে। আর এই নাগমণি নিতেই নাকি গুরুজী চিত্রকে পাঠিয়েছেন। তবে এতে অনেক ভয় ও রিস্ক রয়েছে। কারণ চিত্রার আসল রূপ জেনে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে এটায়।

আর এই রিস্কের আগুনেই এবারে একটু ঘি পড়ে গিয়েছে। আসলে একটু না, বেশ ভালো মতোই ঘি ঢালা হয়েছে। কারণ বিয়ের পর আগুনের সামনে রান্না করতে গিয়ে তো চিত্রার আসল রূপ বেরিয়েই এসেছে। আর শাড়ির নিচ দিয়ে তার লেজ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। বাড়ির বাকিরা খেয়াল না করলেও ঠিক লক্ষ্য করেছে কিঞ্জলের বৌদি অদ্রিজা।

আর তারপরই ঘটতে থাকছে আরও নানা ঘটনা। চিত্রা আর লুকিয়ে চুরিয়ে নয়, সোজা নিজের সাপ রূপ নিয়ে অ্যাটাক করতে যায় ঠাম্মিকেই। বয়স্ক মানুষ কি এসব নিতে পারেন! সঙ্গে সঙ্গে কোল্যাপস করে যান! ওদিকে পঞ্চমী আবার কিঞ্জলকে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে আবার ঠাম্মিকে ঘরে দরজা বন্ধ করে দেয় চিত্রা। এতদিনে যেন, ধারাবাহিকটি বেশ টান টান রূপ নিয়েছে! দর্শকরাও বেশ উত্তেজিত কী হয়, দেখার জন্য!