চন্দ্র বাড়িতে ফিরে আসা মেনে নিতে পারছে না কমলিনী। স্টার জলসার চিরসখা ধারাবাহিকে আজকের পর্বে দেখা যাবে, কমলিনী বেশ কিছুটা দুঃসাহসিকতার সঙ্গেই স্বতন্ত্রর কাছে ছুটে এসেছে। কমলিনী জানায়, সে এই বয়সে এসে আর সং সাজতে পারবে না।
কিন্তু, নতুন বলে এতদিন পর চন্দ্র তাঁর সবকিছু ফিরে পেয়েছে। তাই, বৌঠানের উচিত সিঁথিতে সিঁদুর পরে বৈধব্যতাকে কাটিয়ে নতুন করে সংসার শুরু করতে। এরপর, কমলিনী জানায়, চন্দ্র সবকিছু ফিরে পেয়েছে তা ভালো কিন্তু সে (কমলিনী) আর ফেলে আসা জীবনটাকে নতুন করে শুরু করতে চায় না।
বৌঠানের মতে, বহু বছর আগের কমলিনী আর এখনকার কমলিনীর মধ্যে বিস্তার পার্থক্য রয়েছে। কমলিনী আরও জানায় তার জীবনে যে যখন যেভাবে এসেছে সে তখন সেভাবে ছিনিমিনি খেলেছে। এই মুহূর্তে চন্দ্রের তার জীবনে কোনও অস্তিত্ব নেই। তার জীবন জুড়ে এখন অন্য কোনো মানুষ রয়েছে।
এইসব শুনে স্বতন্ত্র বলে, সে এইভাবে তার বন্ধুকে অপমান করতে পারেনা কারণ সে নিজেকে বন্ধুর জায়গায় বসিয়ে পুরো পরিস্থিতিটা বোঝার চেষ্টা করছে। তার বন্ধু ইচ্ছে করে এই সংসার ছেড়ে চলে যায় নি, তাই তার কোনও দোষও নেই। এরপর কথায় কথায়, কমলিনী সেই দিন হসপিটালের কথা মনে করালে স্বতন্ত্র একটু ইতস্তত বোধ করে।
এরপর সোজাসুজি ভাবে স্বতন্ত্রকে কমলিনী তুমি আমায় ভালোবাসো না? এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করায় নতুন এড়িয়ে যায়। এমনকি, স্বতন্ত্র নিজে নিজেই এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার কথাও ঠিক করে নিয়েছে তা জানতে পারে কমলিনী। নতুনের বৌঠান তাকে বলে, এই বাড়িটার তাই চলে গেলে সমস্ত কিছু কাগজপত্র গুছিয়ে নিয়ে যেনো যায়।
এরপর কথায় কথায় কমলিনী বুঝতে পারে এই দুঃসময়ের লড়াই একাই তাঁর। সে কখনোই সাথী হিসাবে স্বতন্ত্রকে পাশে পাবে না। অথচ স্বতন্ত্র কখনোই তার ভালোবাসাকে ভুলে থাকতে পারবে না। এরপর দেখা যায় বসার ঘরে বসে সবাই চাঁদু কে নিয়ে খোশ মেজাজে গল্পে মেতে উঠেছে।
আরও পড়ুনঃ ছাড় পেলেন না বিশ্বকবিও! অরাজকতার মজে বাংলাদেশ, নিরাপত্তাহীন রবীন্দ্রনাথের বাড়ি! কবিগুরুর স্মৃতিবিজড়িত কাছারিবাড়িতে হা’মলা! উন্মত্ত জনতার হাম’লায় ক্ষতিগ্রস্ত যাদুঘর!
আর, সেখানে বুবলাই কথায় কথায় নতুন কাকুকে কথা শোনাতেও ছাড়ছে না। এমন সময় মিটিল চাঁদুকে বলে যে হোমে এতদিন ছিল সেই হোমের নাম্বার দিতে যাতে তাদেরকে ফোন করে জানিয়ে দেওয়া হয় সে এখানে সুস্থভাবে রয়েছে নইলে অনেক পরে ঝামেলা হতে পারে। এরপর দেখা যায়, কমলিনীর বাপের বাড়ির সবাই চলে এসেছে মুখার্জি বাড়িতে। তারা সবাই এসে অবাক জামাইকে দেখতে পেয়ে।