সেনগুপ্ত বাড়িতে গৃহযুদ্ধের সমারোহ। পরিবার ভাগ হয়েছে দুটি ভাগে। এই মুহূর্তে, দীপার বিরুদ্ধে কাকিয়া আর জয়। প্রবীর সোনা-রূপার নামে সম্পত্তির উইল করেছে, একথা মোটেই হজম করে নিতে পারছে না তারা। হাজার হোক তাদের একটা ভবিষ্যৎ আছে। আর দীপার উপর ভরসা করে সারাজীবন চলাটা গোটা সেনগুপ্ত পরিবারের কাছেই একটা চ্যালেঞ্জ। সব মিলিয়ে স্টার জলসার (Star Jalsha) ‘অনুরাগের ছোঁয়া’য় (Anurager Chowwa) চলেছে টানটান পর্ব।
অন্যদিকে, সেনগুপ্ত বাড়ির হারানো সম্মান ফিরিয়ে দিতে তৎপর দীপা। বাড়ি বিক্রি আটকানো থেকে শুরু করে, প্রতীককে জেল থেকে ছাড়ানো সবটাই একা হাতে করেছে সে। সঙ্গী একমাত্র অর্জুন তাদের সম্পর্ক নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েনি জয়। সবমিলিয়ে টালমাটাল পরিস্থিতি সেনগুপ্ত পরিবারে।
কাকিয়ার দীপাকে কটাক্ষ শুনে লাবণ্য আর প্রবীর বাকরুদ্ধ। জয়ও একনাগাড়ে দোষ দিয়ে চলেছে দীপার। বলছে দীপার সবকিছুই নাটক। লোক দেখানো। দীপার একমাত্র উদ্দেশ্য এই বাড়ি। নিজের অংশ নিয়ে বিক্রি করে রূপার চিকিৎসা করাতে চায় সে। দীপা ‘টাকা-সর্বস্ব’ বলেও অপমান করেন কাকিয়া।
এহেন পরিস্থিতিতে লাবণ্য সেনগুপ্ত ফের নতুন ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নেন। ছোট্ট আলাদা সিঁদুরের ব্যবসা দিয়ে শুরু করে লাবণ্য এখন একটা বিশ্বজনীন ব্র্যান্ড। তবে এখন আর সেসবের কিছুই নেই। লাবণ্য সেনগুপ্ত চান না আর কিছু ফিরেও আসুক। দীপা আর লাবণ্য একসঙ্গে ফের ব্যবসা শুরুর পরিকল্পনা করেন। আর এই নতুন চলার পথের সারথি প্রবীর।
লাবণ্য সিদ্ধান্ত নেন এবার থেকে তিনি ও প্রবীর দীপার বাড়িতেই থাকবে। সেনগুপ্ত বাড়ি থেকে ফিরে আসার সময় আরও বলে, সে বীরকে সে নিজের সঙ্গে নিয়ে যেতে চায়। কারণ, এই পরিস্থিতিতে বীরের অযত্ন হতে পারে। দীপার সিদ্ধান্ত দেখে প্রশংসা করেন লাবণ্য। বলেন দীপার মতো মন সবার হয় না। এদিকে, ভাড়া বাড়ি গমগম করতে থাকে ফের সবার সমাগমে। অর্জুন, দীপা, সোনা-রূপা, লাবণ্য-প্রবীর সকলে খুশি। সরস্বতী পুজোর দিন চালে-ডালে ফুটিয়ে খিচুড়ি দিয়ে পিকনিক করবে তারা।