বিরল রোগে আক্রান্ত দীপা। চিকিৎসার জন্য চাই এক লক্ষ পঁচিশ হাজার টাকা। এদিকে, সূর্য বিবেক দংশনে জেরবার হয়ে পাড়ি দিয়েছে অজানার উদ্দেশ্যে। দুই মেয়ে বা দীপার কোনো খোঁজ রাখতে চায় না সে। অনুশোচনা থেকে এই সিদ্ধান্ত? নাকি স্বার্থপরতা আর দায়িত্বহীনতা? এই নিয়ে নেটপাড়ায় চর্চার কেন্দ্রে স্টার জলসার (Star Jalsha) ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chowwa) ধারাবাহিক (Bengali Serial) । এক দফা বিশ্লেষণ হয়ে গিয়েছে নেটপাড়ায়।
আরো পড়ুন: ঝিলিক হয়ে জিতেছিলেন দর্শকদের মন! নায়িকার গুণ থাকা সত্ত্বেও পার্শ্বচরিত্রেই খুশি শ্রীতমা ভট্টাচার্য! আপনার কী মত?
অন্যদিকে, দীপা এই মুহূর্তে অর্থনৈতিক ভাবে পুরোপুরি নিজের উপর নির্ভরশীল নয়। কিন্তু মেয়ের চিকিৎসার জন্য পাহাড় প্রমাণ এই টাকার অঙ্ক শুনে ফের ফুলের ব্যবসা শুরু করার কথা ভাবছে সে। তার সঙ্গে হোম ডেলিভারি। কিন্তু এই স্বল্প আয়ে কোটি টাকা জোগাড় করা কি আধেও সম্ভব? শুধু রূপা নয়। সোনাও তো আছে। তার পড়াশোনাই বা চলবে কেমন করে।
ইতিপূর্বে আমরা দেখেছি, অর্জুন রূপার মেরুদণ্ডের নিচে একটি টিউমার খুঁজে পায়। যেই টিউমার মেরুদণ্ডের সব রস শুষে নিচ্ছে। গোটা দেশে এই ধরনের টিউমারের নথিভুক্ত রিপোর্ট নেই। তাই বায়োপসি করে যাচাই করছে অর্জুন। মেয়ের রোগের কথা শুনে দিশেহারা বোধ করে দীপা। পাগলের মতো বকতে থাকে কোথা থেকে, কি কি ভাবে টাকা জোগাড় করবে এসব। মেয়েকেও মনে সাহস দিতে থাকে।
তবে সাম্প্রতিক পর্বে, দীপাকে দেখে অবাক ধারাবাহিকের অনুরাগীরা। যে মেয়ে কোনোদিনও কারোর কাছে হাত পেতে কিচ্ছু চায়নি, সাহায্যের হাত পাতেনি। সেই মেয়ে আজ বাড়ি বয়ে সূর্যের কাছ থেকে মেয়েদের খোরপোশ নিতে এসেছে। বাড়ি এসে খোঁজ শুরু করেছে সূর্যের।
বাড়ির সকলে বুঝতে পারে নিশ্চয় দীপা ভীষণ সমস্যার মধ্যে রয়েছে। সূর্যকে খুঁজে চলেছে পাগলের মতো। কিন্তু কাউকেই কিছু বলতে চাইছে না। কোর্টে সে ফের কেস করবে। আইত ভাবেই সূর্যের থেকে প্রাপ্য আদায় করবে দীপা। কিন্তু বাড়ির সকলকে না বললে কী করে বুঝবে সকলে দীপার সমস্যা? এবার কি আত্মসম্মান ভুলে মেয়ের জন্য সেনগুপ্ত বাড়ির কাছেই হাত পাতবে দীপা?