অবশেষে সোনা (sona) ও রূপার (Rupa) সঙ্গে দীপা (Deepa) সেনগুপ্ত বাড়ি ফিরে এল। এরআগেও দীপা এসেছে তবে নিজের যোগ্য সম্মান নিয়ে নয়। কিন্তু এবার সূর্য (Surjyo) নিজের স্ত্রীর সম্মান দিয়ে এক প্রকার জোর করে দীপাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে। যদিও সূর্যের থেকে বারংবার অপমানিত হয়ে দীপার মন ভেঙে গিয়েছে। সে নিজের আত্মসম্মানকে বজায় রাখার জন্য সূর্যের ধারে কাছে যাচ্ছে না। দীপা শুধুই সন্তানদের মুখ চেয়ে সূর্যের বাড়ি এসেছে।
সূর্যকে কি ক্ষমা করে দেবে দীপা?
সেনগুপ্ত বাড়ির সকলে দীপা ও সূর্যের মিল করিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় উঠেপড়ে লেগেছে। তারা প্ল্যান করে চলেছে, কিভাবে দুজনকে কাছাকাছি আনা যায়। কিন্তু দীপা সূর্যের সাথে কোনও কথা বলছে না। এমনকি দীপার অসুবিধাতে সাহায্য করতে গেলে সূর্যকে বারণ করে দিচ্ছে। তবে সূর্য জানে, দীপা ঠিক একদিন সূর্যকে ক্ষমা করে নিজের কাছে টেনে নেবে। আর সেই দৃশ্য দেখার অপেক্ষায় দর্শকও।
সেনগুপ্ত বাড়িতে সন্তানদের সঙ্গে এল দীপা
হাসপাতাল থেকে সূর্যকে দীপা ও সন্তানদের নিজের বাড়িতে নিয়ে যেতে দেখে অবাক হয়ে যায় মিশকা (Mishka)। কারণ প্ল্যান মতো এবারও মিশকা সূর্যের রিপোর্ট পাল্টে দিয়েছিল। মিশকার মনে প্রশ্ন জাগে, হঠাৎ সব মেনে নিল কিভাবে? আর তারই উত্তর পেতে মিশকা সূর্যের কাছে যায়। সূর্যের কথা শুনে মিশকা বুঝতে পারে, এতদিন ধরে যে চক্রান্ত দীপার বিরুদ্ধে করে চলেছিল, সে সবকিছু বিফলে গিয়েছে। এই শুনে রেগে গিয়ে মিশকা নিজের বাড়ি চলে যায়।
ফের দীপার বিরুদ্ধে মিশকার চক্রান্ত
সেনগুপ্ত বাড়িতে দীপার সুস্থ কামনায় লাবণ্য পুজো রাখে। আর সেই পুজোতে সূর্যের বেস্ট ফ্রেন্ড হিসাবে মিশকাকে নেমন্তন্ন করা হয়। মিশকা নেমন্তন্ন পেয়ে ফের চক্রান্ত করে দীপার বিরুদ্ধে। সে সিদ্ধান্ত নেয়, দীপার ভালোর জন্য করা পুজোতেই দীপার মন্দ ডেকে আনবে মিশকা। সূর্যকে আবার ভুল বুঝিয়ে দীপার বিরুদ্ধে করবে সে। এই ভেবেই সে সেনগুপ্ত বাড়িতে যায়।
মিশকার পর্দা ফাঁস
পুজোর ফাঁকে সূর্যকে একা পেয়ে দীপা সূর্যের কান ভাঙাতে শুরু করে মিশকা। সে বলে, সোনা-রূপা সূর্যের সন্তান হলেও, কবিরের সঙ্গে দীপার একটা সম্পর্ক ছিল। আর সেটা মিথ্যা নয়। এমন কথা বলতে শুনে নেয় দীপাও। সে এবার রেগে গিয়ে মিশকার উপর চড়াও হয়। এবার দীপা মিশকার সকল চক্রান্ত সূর্যের সামনে প্রমান সহ ফাঁস করে। এমনটাই হয়তো আসতে চলেছে ধারাবাহিকের পরবর্তী পর্বে। দীপা এবার মিশকার পর্দা ফাঁস করবে।