স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক (Star Jalsha) ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chowwa) । ইতিমধ্যেই দর্শকদের মনের মণিকোঠায় জায়গা করতে সক্ষম হয়েছে এই ধারাবাহিক। পাশাপাশি, ছোটপর্দার গল্পে যেভাবে একজন শ্যামবর্ণ মেয়ের জীবন সংগ্রামের কাহিনী ফুটিয়ে তোলা হয়েছে তা দারুণ পছন্দ হয়েছে বাংলা সিরিয়াল প্রেমী ও নেটিজেনদের।
এই মুহূর্তে ধারাবাহিকে চলছে টানটান উত্তেজনা। সূর্য, দীপা ও মিশকার ত্রিকোণ প্রেম ও সম্পর্কের টানাপোড়েনের নিয়ে তৈরি সিরিয়ালের গল্প। টিআরপি তালিকায়ও বরাবরই প্রথম পাঁচে থাকে। প্রতি এপিসোডেই ধারাবাহিকের গল্পে থাকে নতুন নতুন টুইস্ট। এই মুহূর্তে, আবার ধারবাহিকের গল্প মোড় নিয়েছে খাতে। সহজ কথায় যাকে বলে, গল্প একেবারে জমে ক্ষীর।
সূর্যের সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে যাবে দীপার। আর তাঁদের সন্তানদের কাস্টডি কে নেবে এই নিয়ে চলছে কোর্ট কেস। তাই কাস্টডি পেতে হলে দীপাকে যেভাবে হোক, শিঘ্রই একটা কাজের ব্যবস্থা করতেই হবে। কিন্তু ইতিপূর্বে আমরা দেখেছি অর্জুনের থেকে পাওয়া কাজের অফার নেয়না দীপা। তাই এবার ঊর্মির বরের হাতে, একটি নাচের স্কুলের টিচারের কাজের অফার পাঠায় অর্জুন। প্রতিষ্ঠানের নাম ‘দ্বিপান্বিতা ইনস্টিটিউশন’। যদিও নাম দেখে অবাক হয় দীপা। তাঁর নামে নাচের স্কুল?
তখনই সোনা-রুপা জিজ্ঞেস করে, ‘মা, কাস্টডি কী?’ দীপা বলে, ‘আমার আর তোমাদের বাবার ঝগড়া হচ্ছে। তাই আমরা আর একসঙ্গে থাকতে পারবো না। তোমাদের যে কোনো একজনের সঙ্গেই থাকতে হবে। যার সঙ্গেই থাকো না কেন, তোমরা যত্নে থাকবে।’
কিন্তু ঊর্মির বর বলে নাম এক এটাতো কাকতালীয় ব্যাপার! হতেই পারে। দীপা ইন্টারভিউ দিতে যায়। এবং তাঁকে সিলেক্টও করা হয়। অপরদিকে, মিশকা গিয়ে হাজির হয় অর্জুনের বাড়ি। হাসপাতাল থেকেই অর্জুনের ঠিকানা জোগার করেছে সে। তাঁর বাড়িতে গিয়ে বলে ছেলের শরীর খারাপ, তাই উপায় না পেয়ে তাঁর কাছে এসেছেন। কিন্তু মিশকার ছেলের শরীরে কোনো অস্বাভাবিকতা খুঁজে পায় না অর্জুন । তাই মিশকাকে বলে ছেলের সব রিপোর্ট নিয়ে যেন হাসপাতালে আসে। এভাবে বাড়িতে যেন না আসেন। ঠিক তখনই অর্জুনের মেয়ের পকেটে মদের বোতল দেখতে পায় মিশকা।