সেনগুপ্ত গুপ্তবাড়ির দখল নিয়ে চলছে টান টান পর্ব স্টার জলসার (Star Jalsha) ‘অনুরাগের ছোঁয়া’য় (Anurager Chowwa)। লাবণ্য সেনগুপ্তের নামে অনেক টাকা ঋণ ব্যাঙ্কে। তাই ব্যাঙ্ক তাদের সম্পত্তি নিলামে তুলেছে। কিন্তু এই মুহূর্তে, বাড়িটি লাবণ্য সেনগুপ্তের নয়। বাড়িটি প্রবীর উইল করে সোনা-রূপার নামে লিখে দিয়েছে। তাই এই মুহূর্তে লাবণ্য সেনগুপ্তের নামে নেওয়া কোনো লোনের ভরপাই আইনত বাড়ি দিয়ে করা চলবে না।
গোটা সেনগুপ্ত পরিবার এককাট্টা হয়ে, অর্জুনের সঙ্গে সেনগুপ্ত বাড়ি আসে। বাড়ি নিলাম হচ্ছে দেখে সকলের মনে ঘনিয়ে আসে কালো মেঘ। ব্যাঙ্কের কর্মীরা কিছুতেই দীপার কথা শুনতে চায় না। এরমধ্যেই ৩০ কোটি টাকা দিয়ে সেনগুপ্ত বাড়ি কিনে নিতে চায় মিস্টার কুমার। মাথায় বাজ পড়ে লাবণ্যের। তার বাবা-মায়ের খুনি কুমার।
যদিও, কুমার বারবার বলতে থাকে সে তার সব পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে চায়। সেনগুপ্ত বাড়ি নিলামে কিনে লাবন্যের সঙ্গে হস্তান্তর করতে চায় সে। কিন্তু বদমাইশ কুমারের কথা কেউ বিশ্বাস করে না। এমতাবস্থায়, জয় আর অর্জুনের সঙ্গে শুরু হয় পারিজাত সেনের গুন্ডাদের হাতাহাতি। পারিজাত সেন ক্যামেরাবন্দী করতে থাকে এসব।
ঝামেলার মধ্যে সেখানে এসে উপস্থিত হয় পুলিশ। দীপা পুলিশকে বাড়ির আসল দলিল দেখিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। ছোট্ট রূপাও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেয়। দলিল দেখে পুলিশও সেনগুপ্ত পরিবার অনুমতি দেয় বাড়িতে প্রবেশ করার। একদিকে, বাড়ি ফিরে পেয়ে দীপার কাছে কৃতজ্ঞ লাবণ্য সেনগুপ্ত আর প্রবীররা। অন্যদিকে, ছোট কাকিমা আর জয়ের মুখ ভার। লাবণ্যর এত দীপা প্রীতি ভাল চোখে দেখছে না তারা।
জয় ভাবে এই বাড়ির কেউ তার কথা ভাবে না। জয়কে ছেলে হিসেবে পেয়ে লাবণ্য ও প্রবীর অপমানিত। ছোট থেকেই সূর্য সবেতেই তার থেকে এগিয়ে। আর এখন সূর্য চলে যাওয়ার পর বউদি ভাই এখন তাদের একমাত্র আশা ভরসা। এই নিয়ে ক্ষোভ জয়ের মনে। রূপা কি পারবে মান অভিমানের পর্ব মিটিয়ে ফের জয় আর কাকিমার বিশ্বাস অর্জন করতে?