এই মুহূর্তে অনুরাগের ছোঁয়াতে (Anurager Chhowa) বিবাহ বিচ্ছেদের পর সূর্য এবং দীপা মেয়েদের উপর অধিকার নিয়ে আইনি পথে লড়াই করছে। তবে এতে দীপার প্রতি সূর্যের ভালোবাসা বিন্দুমাত্র কমে যায়নি কিন্তু সে শুধু নিজের মেয়েদের ফিরে পেতে চায় তাই এই রাস্তা তাকে অবলম্বন করতে হয়েছে বাধ্য হয়ে। ওদিকে নিজের ডাক্তার বাবুকে ক্রমশ ভুল বুঝে চলেছে দীপা।
অর্জুন দীপাকে ভালবাসতে ছোটবেলা থেকে তবে সেটা কোনদিন সে মুখ ফুটে বলতে পারেনি। আর এত বছর পর ডাক্তার হয়ে বিদেশ থেকে ফিরে এসেছে সে নিজের শহরে। তবে সে দীপার জীবন নষ্ট করতে চায় না বরং দীপার পাশে থেকে তাকে সাহায্য করছে এই লড়াইয়ে।
আজকের পর্বে দেখা যাবে যে দীপা মেয়েদের অধিকার ফিরে পেতে এবং রুপার স্কুলের সমস্ত মাইনে জোগাড় করে দিতে কাজের খোঁজে বেরিয়েছে এবং সেই নিয়ে বাড়িতে কাউকে বলে যায়নি বলে সকলে চিন্তায় রয়েছে। এমন সময় দেখা যায় দীপা সেখানে প্রবেশ করে এবং অর্জুন তাকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার হাতে ধরায় তার নতুন ইনস্টিটিউশনে চাকরির জন্য। তবে দীপার সবার বশত সে সেটা নিতে অস্বীকার করে। সেই এপয়েন্টমেন্ট লেটার লেখা ছিল যে দীপাকে ৫ লাখ টাকার লোন দেওয়া হবে যেটা প্রতি মাসে তার মাইনে থেকে কেটে নেওয়া হবে। দীপা পরিষ্কার জানিয়ে দেয় সে কারুর দয়া নেবে না। এই দেখে দীপার মা অর্থাৎ সৎ মা রত্না নিজের ফিক্সড ডিপোজিটের চেক নিয়ে আসে এবং সেটা ভাঙিয়ে ১২ লাখ টাকাতে দীপাকে প্রয়োজনের খরচ করার জন্য পরামর্শ দেয়। দীপা মায়ের কথায় প্রচন্ড আবেগে ভেসে যায় কিন্তু সেটা নিতে অস্বীকার করে।
এরপর দেখা যায় দীপা সোনা রুপার স্কুলে গেছে যে কত টাকা তাকে জমা দিতে হবে সেটা জানার জন্য। এমন সময় সেখানে এক ব্যক্তি আসে। নিজের নাচের কম্পিটিশনের প্রচার করতে চায় সেই স্কুলে। সে কম্পিটিশনে যে জিতবে তাকে ৩ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। তবে সেই কম্পিটিশন হবে অত্যন্ত কঠিন। দীপা সেটা শুনে ব্রসিওর হাতে নিয়ে নেয় এবং বাড়ি ফিরে এসে জয় আর উর্মিকে জানায় সেটা। জয় এবং উর্মি চিন্তায় পড়ে যায় যে মাত্র সাত দিনের মধ্যে এই নাচটা শিখে সে কিভাবে কম্পিটিশন করবে আর কে তাকে শেখাবে।
নাচের টিচারের কথা বলতেই দীপার মাথায় আসে পৃথা চক্রবর্তীর কথা যে তাদের নাচের স্কুলের টিচার ছিল। দীপা সেখানে যায় এবং দেখে তখন পৃথা নাচের ক্লাস করাচ্ছে। সে গিয়ে বলে তাকে তিনদিনের মধ্যে এমন নাচ তুলিয়ে দিতে হবে যাতে সে জিতে যায় কারণ সেই টাকাটা তার লাগবেই আর সে হারতে পারবে না। পৃথা জানতে চায় কেন এত টাকা তার প্রয়োজন এবং তখন সে সেটা এড়িয়ে গিয়ে বলে নাচটা তাকে আগে শিখতে হবে। পৃথা শেষমেষ রাজি হয় তাকে শেখাতে নাচ।