স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chowwa) এই ধারাবাহিকটি অন্য পাঁচটি সাধারণ ধারাবাহিকের মতো প্রেম ও ভালোবাসার মোড়কে শুরু হলেও ক্রমে তা বাস্তব জীবনের রূপ নিয়েছে। অনুরাগ ডিঙিয়ে বাস্তব জীবন হয়ে উঠেছে সত্যি। সূর্য ও দীপার প্রেম একসময় প্রধান আকর্ষণ ছিল ‘অনুরাগের ছোঁয়ার’। কিন্তু এখন একরত্তি রূপার বেঁচে থাকার প্রার্থনাটাই ধারাবাহিকের প্রতিটি পর্বে। একসময়ের বেঙ্গল টপার এই ধারাবাহিক টিআরপির (TRP) ময়দানে রোজ ছক্কা হাঁকছে। দিন দিন বাড়ছে দর্শক উন্মাদনা।
সূর্য দীপার মধ্যে চির বিচ্ছেদ ঘটিয়েই জেলে গেছে মিশকা। শুধু তাই নয়, ছোট্ট রূপার জীবন-মরণ যুদ্ধ শুধুমাত্র তাঁর জন্যই। গুরুতর অ্যাক্সিডেন্টের মুখ থেকে বেঁচেছে রূপা। কিন্তু সুস্থ হয়নি সম্পূর্ণ। সে এক কঠিন রোগে আক্রান্ত। যার অস্ত্রপচারের জন্য অনেক টাকা একজোট করতে হবে। আর সেই টাকার জোগাড়েই দিবারাত্র এক করে লড়ে যাচ্ছে তাঁর মা।
অন্যদিকে রূপার বাবা সবকিছু থেকে পলাতক। এহেন আচরণের কারণে ধারাবাহিকের নায়ক সূর্য ক্রমে কাপুরুষ ও ভীরুর তকমা পেয়েছে দর্শক মহলে। সূর্য ও দীপার মধ্যে ডিভোর্স হয়েছে। জেলে থাকা মিশকা এটুকুতেই শান্তি পেয়েছে যে দীপা এখন সূর্যর থেকে অনেক দূরে। এদিকে, মিশকার পাপাই হাত গুটিয়ে বসে নেই। দীপা ও সেনগুপ্ত পরিবারের আরও সর্বনাশ করতে পুরোদমে প্রস্তুত সে। লাবণ্য সেনগুপ্তর সংসারকে তাসের ঘরের মত ভাঙার চক্রান্ত এঁটেছে মিশকার পাপাই।
ধারাবাহিকের গত পর্বে দেখা যায়, হাসপাতালে চেক আপের গিয়ে সংজ্ঞা হারায় রূপা। ডাক্তার বলে, রূপার চিকিৎসা দ্রুত দরকার। নইলে তাঁর আরও বিপদ। এরমধ্যে চোখ খুলে মায়ের কাছে বাঁচতে চায় একরত্তি রূপা। সে বলে, রূপা তাঁর মায়ের কাছে থাকতে চায়। মেয়ের মুখে বাঁচার আকুতি শুনে নিজেকে ঠিক রাখতে পারে না দীপা। সমস্ত দম্ভ, অভিমান ভুলে সে রওনা দেয় সেনগুপ্ত বাড়ি।
এদিকে, সেনগুপ্ত বাড়িতে তিস্তা ও ভিক্টর এসেছে। মেয়েকে বুকে জড়িয়ে ঘরে এনেছে কাকিয়া। মুখে চওড়া হাসি নিয়ে ভিক্টরও পা রেখেছে অন্দরে। এমন সময় কাঁদতে কাঁদতে লাবণ্য সেনগুপ্তর পায়ে পড়ে দীপা। সে বলে, তাঁর মেয়ের মুখ চেয়ে যেন টাকাগুলো দেয় লাবণ্য সেনগুপ্ত। দীপা যখন ভেঙে পড়েছে লাবণ্য সেনগুপ্তর পায়ে, এমন সময় পুলিশ নিয়ে হাজির মিশকার পাপাই। কী অভিসন্ধি তাঁর? দীপা কি পারবে তাঁর মেয়েকে বাঁচাতে? নাকি হেরে যাবে সে? প্রশ্ন রেখেই শেষ হয় ধারাবাহিকের বিগত পর্বটি।