মিশকার বিরুদ্ধে প্রমাণ এককাট্টা করতে অপারগ পুলিশ, শেষমেষ কি বেকসুর খালাস পেয়ে যাবে মিশকা?

সূর্যকে পেতে আর কত নিচে নামবে মিশকা? এই প্রশ্নই ঘুরে বেড়াচ্ছে স্টার জলসার (Star Jalsha) ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chowwa) ধারাবাহিকের আনাচে কানাচে। দিনকয়েক আগে রূপাকে রাস্তায় একা দেখতে পেয়ে গাড়ির ধাক্কা দেয় মিশকা। ছোট্ট রূপা ধাক্কা সামলাতে না পেরে গুরুতর জখম হয়। এই মুহূর্তে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সে।

সদ্য ব্রেইন সার্জারি হয়েছে রূপার। মাথার আঘাত গুরুতর হওয়ার দরুন কোমায় রয়েছে সে। কিন্তু তাও মনে শান্তি হয়নি মিশকা। তার আশঙ্কা রূপা সুস্থ হয়ে উঠলে তার কুকীর্তির কথা প্রকাশ্যে এসে পড়বে। তাই যে করেই হোক রূপাকে রাস্তা থেকে হটাতে হবে।

আরো পড়ুন:কাঁচি দিয়ে বোমের তার কাটা অতীত, বাজারে এখন ট্রেন্ডিং বাঁধাকপির পাতা দিয়ে পায়ের ব্যথা সারানোর পদ্ধতি! ট্রোলের মুখে গোবরদেবী

তারপর নার্স বেশে রূপার কেবিনে প্রবেশ করে মিশকা। পয়জন ইনজেক্ট করে চিরতরে ঘুম পাড়িয়ে দিতে চায় ছোট্ট রূপাকে। কিন্তু মিশকাকে এই ইনজেকশন হাতে দেখেই পাকড়াও করে দীপা। রুদ্রমূর্তি ধারণ করে সে। এতদিন নিজের উপর যত বড় বিপদ নেমে এসেছে মুখ বুঝে সহ্য করেছে। কিন্তু মেয়ের ক্ষেত্রে একচুলও আপস করবে না দীপা।

মিশককে সে তুলে দেয় পুলিশের হাতে। কিন্তু ধুরন্ধর মিশকার বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণই এককাট্টা করতে পারছে না পুলিশ। কাষ্টডিতেও মুখ খুলছে না সে। উল্টে পুলিশকে বলছে সে পাস করা ডাক্তার। সে জানে রূপার চোট এতটাই গুরুতর যে রূপা কোনোদিন কোর্টরুমে দাঁড়িয়ে সাক্ষ্য দিতে পারবে না। সুতরাং, মিশকার পক্ষে বেকসুর খালাস পাওয়া কোনো ব্যাপারই না।।

পুলিশ কোনো প্রমাণ জোগাড় করতে পারছে না, একথা সেনগুপ্ত বাড়ির সকলের সামনে পুলিশ বললে সকলে আশাহত হন। বদমাইশ মিশকা সেন এবারও পাড় পেয়ে যাবে? তখন দীপা পুলিশ অফিসারকে বলে “আপনি মিশকাকে কোর্টে তোলার ব্যবস্থা করুন। ওকে শাস্তি দিতে যা যা করণীয় আমি করব। আমি জোগাড় করব মিশকার বিরুদ্ধে যাবতীয় প্রমাণ।”