“মাম্মা বলে ডাকত আর এখন সব চিনতেই পারে না”, ” ছবির পোস্টার দেখে আমার বিয়ে ভে’ঙে দিয়েছিলেন বিপ্লব চ্যাটার্জী!” বি’স্ফো’র’ক বর্ষীয়ান অভিনেত্রী অনামিকা সাহা
টলিপাড়ার (Tollywood) জনপ্রিয় অভিনেত্রী তিনি। যাত্রা, সিনেমা এবং ছোটপর্দায় সমান তালে কাজ করে তিনি মন জয় করেছেন আপামর বাঙালি দর্শকদের। কখন করুণাময়ী বা আবার কখনও অতি খ’লচরিত্রে তাঁর অভিনয় বারবার দাগ কেটে গেছে দর্শকদের মনে। বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না, বদলা, প্রতিশোধ, প্রতিদান, সাথি, ঘাতক, পরিবার, শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ, খেলার পুতুল, দুই পুরুষ, রাজু আঙ্কেল, গণদেবতা, মায়ের আঁচল সহ একাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। এছাড়া আলো ছায়া, লাল কুঠির, বেঁচে থাকার গান প্রভৃতি ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী অনামিকা সাহা (Anamika Saha)।
বর্তমানে তিনি অভিনয় করছেন বাংলা টকিজের মন দিতে চাই এবং কথা ধারাবাহিকে। সম্প্রতি একটি জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকারে তাঁর ব্যক্তিগত জীব’ন, বর্তমান প্রজন্মের সিনেমা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন তিনি। অভিনেত্রীর কথায় বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে তাকে মনে করা হত রেহানা সুলতান। তাঁর চোখ, ফি‘গা’রের জন্যই বারবার তিনি পেয়েছেন কা’লো দা’গের ছবি। “তখন আমার বয়স ১৯। যে যা বলত তাতেই কাজ করতাম। নিষ্কৃতি সিনেমায় খা’লি গা’য়ে অভিনয়ের জন্য অনেক ক’টা’ক্ষ শুনেছি। তবে আমার প্রথম সিনেমা আশার আলো আমার ভবিষ্যৎ অ’ন্ধ’কারে ডুবিয়ে দিয়েছিল। বম্বে থেকে অভিনেতা সিনেমা করেছেন কিন্তু সিনেমাটা চলেনি। ওই সিনেমার কারণে অনেক মা’র খেয়েছি মায়ের কাছে।“
অভিনেত্রীর মতে তাঁর একটি সিনেমার পোস্টারের তাকে বলা হয়েছিল পা ওপরে এবং মাথা নিচে রেখে ছবি তুলতে। বিয়ের কার্ড বেরিয়ে যাওয়ার পর কলকাতায় ছড়িয়ে পরে সেই পোস্টার। অনেক খারাপ খা’রা’প মন্ত’ব্য শুনতে হয়েছিল। বিপ্লব চ্যাটার্জী আমার স্বামীকে বলেছিলেন, বলেছিল এরকম মেয়েকে বিয়ে করবি! তবে অভিনেত্রীর মতে তাঁর অভিনয় দেখে একবার সৌমিত্র চ্যাটার্জী সন্ধ্যা রায়কে বলেছিলেন “তোমার সঙ্গে পা’ল্লা দেওয়ার লোক এসে গেছে। সেটা শুনে খুব অভিমান করেছিলেন সন্ধ্যা রায়। অভিনেত্রী জানিয়েছেন “আমি বুঝিনা আমায় কোন নায়িকা কেন হিং’সা করতেন।“
একাধিক সিনেমায় বলিউড অভিনেত্রীদের হয়ে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। তবে ক্ষো’ভ রয়ে গেছে একটাই। অভিনয়ের সুযোগ দেয়নি বাংলা সিনেমা। অভিনেত্রীর কথায় এখনকার দিনে দেব, জিতের সিনেমা মানুষের মনে দাগ কেটে যায়না, যেটা আগে হত। “এখন সিনেমা দেখার পরই লোকে ভু’লে যায় কিন্তু আগে মানুষের ২-৩দিন মনে থেকে যেত দৃশ্যগুলো। এখন পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মিঠুন চক্রবর্তীকে নিয়েই সিনেমা করা হয়। এখন কাহিনীই ভালো না।“
আরও পড়ুন: র’ক্ষণ’শীল স্বামী দেননি অনু’ম’তি! নিজের ইচ্ছায় সংসারের বে’ড়া’জা’ল ভে’ঙে সিনেমার জগতে পা রাখেন শকুন্তলা বড়ুয়া! জানুন অজানা কাহিনী
অপরাজিতা আঢ্যকে নিয়ে অভিনেত্রী বলেছেন আগে আমায় মাম্মা বলে ডাকত। আমিই ওকে শিমুল পারুলের জন্য নিয়ে গিয়ে বলেছিলাম ওকে একটা সুযোগ দিতে। তারপরই প্রসেনজিতের সঙ্গে একের পর এক সিনেমা করেছে ও। আর এখন মাম্মাম তো দুরের কথা পাশ দিয়ে চলে গেলেও ফিরে তাকায় না। কেমন আছো বা কিছু কথাই বলে না। ভালো এখন এরকম দরকার। ও আরও বড় হোক এটা চাইব।“ অভিনেত্রী কোন সিনেমাটি আপনার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে?