কার কাছে কই মনের কথায় আসছে ধামাকা পর্ব! অডিও ক্লিপের প্রমাণে আসল অপরাধী প্রকাশ্যে!

জি বাংলা (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Kotha) তার নতুন চমকের জন্য মন কেড়েছে দর্শকদের। কোর্টে চলছে শিমুলের কেস। মধুবালা দেবী, পরাগ, পলাশ, প্রতীক্ষা এবং শিমুলের বান্ধবীরা সহ উপস্থিত আসেন সকলেই। বিপাশা সঙ্গে কথা বলার পর অনির্বাণ কোর্টে ডাকে পরাগকে। আর পরাগ আসেই শুরু করে তার নাটক। কান্নাকাটি শুরু বলতে দেয় প্রথমেই।

অনির্বাণ পরাগকে প্রশ্ন করে সে শিমুলকে কেন ডিভোর্স দিতে চেয়েছিল সেই প্রশ্নের উত্তরে পরাগ জানায় সে শিমুলকে ভালোবাসত কিন্তু শিমুল পরবর্তী সময়ে তার প্রেমিক শতদ্রুর সঙ্গে মেলামেশা শুরু করে। যেটা তার একদমই ভালো লাগত না। তখনই প্রমাণ স্বরূপ শিমুল শতদ্রুকে মিষ্টি খাওয়াচ্ছে সেই ছবিটা দেখিয়ে দেয় পরাগ।

তখন আরাধনা বলে ওঠে “একটা তো খুব সাধারণ একটা ব্যাপার। আমাদের বাড়িতে কেউ এলেও আমরা তাকে মিষ্টি খাওয়াই। তাছাড়া শিমুল। এবং শতদ্রু অনেক পুরনো বন্ধু তাহলে একজন বন্ধু তো আর একজন বন্ধুকে মিষ্টি খাওয়াতেই পারে এতে সমস্যার কি আছে আর কি বা প্রমাণ হয়।” তখন অনির্বাণ বলে “খাওয়াতেই পারে কিন্তু এতে এত জোড়াজুড়ির কি আছে!” সেই কথায় আরাধনা বলে “আপনি সঠিক ভাষা ব্যাবহার করুন নাহলে জার বিষয়ে কথা বলছেন সে আপনার নামে মানহানির মামলা করতে পারে।”

তারপর বিচারক সাহেব অনির্বাণকে পড়ে পরের প্রশ্ন করতে তখন সে বলে আপনি শিমুলকে ডিভোর্স শতদ্রুর জন্য দিয়েছিলেন তো। তার উত্তরে পরাগ বলে “হ্যাঁ এইসব আমি আর দেখতে পারছিলাম না।” তখন শিমুল মনে মনে ভাবে কি মিথ্যে কথা বলছে পরাগ। তারপর পরাগকে যেতে বলা হয় আর আরাধনা পরাগের স্কুলের প্রধান শিক্ষকে ডাকে তখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলে পরাগ না একজন ভালো মানুষ না একজন ভালো শিক্ষক আমি সবসময় ভয় পেতাম কোনদিন স্কুলে সমস্যা হবে।

তিনি এও বলেন শিমুল স্কুলে গিয়ে পরাগের নামে অভিযোগ করেছিল যে পরাগ তার গায়ে তোলে। তাছাড়া শিমুল ভালো মেয়ে। সেই কথা শুনে ঘাবড়ে যায় পরাগ। তখন সেই কথায় অনির্বাণ বলে প্রধান শিক্ষক শিমুলকে নিজের মেয়ের মতো দেখে তাই এইরকম বলতে তবে তার কথা খারিজ করে আরাধনা বলে তার এখানে কোনও স্বার্থ নেই। আরাধনা কোর্টে অডিও ক্লিপ শুনিয়ে প্রমাণ করে যে পরাগরা শিমুলকে বিষ দিয়েছিল। তারপর কোর্ট বন্ধ হয়ে যায় এবং পরীক্ষা, পলাশ এবং পরাগ ভয়ে বাড়ি আসে। তখন পুতুল পরাগকে বলে নিজের ভালো পাগলেও বোঝে কিন্তু তুই বুঝিস না।

তখন প্রতীক্ষা মধুবালা দেবীকে রান্না করতে বললে তিনি মানা করে দেন এবং পলাশও তাকে অসম্মান করে। তবে কি মনে হয় আপনাদের এবার কি সামনে আসবে আসল দোষী?