স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক গুড্ডি। এই ধারাবাহিকের গল্প নিয়ে রীতিমতো ছিনিমিনি খেলছেন লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। এই ধারাবাহিকে প্রথমে দেখানো হয় অনুজ মৃত। ভেবে নেওয়া হয়েছিল অনুজের ছেলে ঋতুরাজকে নিয়ে এগিয়ে যাবে এই ধারাবাহিকের গল্প। এগোচ্ছিল সেই রকম।
কিন্তু হঠাৎই সবাইকে ব্যাপক রকমের চমক দিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হল মৃত অনুজকে। বলা ভালো অনুজের মতো দেখতে একজন ব্যক্তিকে। যদিও সেই ব্যক্তিকে দেখামাত্রই দর্শকরা ভেবে নিয়েছিলেন এই তো অনুজই। একই রকম চেহারা আবার আলাদা ব্যক্তি হতে পারে নাকি! যদিও ধারাবাহিকে সবই সম্ভব। অনুজের ছেলে ঋতুরাজকেও একই রকম দেখতে হয়েছে।
এই ধারাবাহিকে যখন অনুজকে একজন দেশদ্রোহী হিসেবে দেখানো হয় তখন দর্শক ভাবে অনুজের স্মৃতিভ্রষ্ট হওয়ার জন্যই সে এমনটা করছে। কিন্তু ঘটনা তা নয়। অজানা এই ব্যক্তির সত্যি জেনে গেল গুড্ডি। পুলিশ স্টেশনে পুলিশের সামনে আগন্তুক বলল সে অনাথ আশ্রমে বড় হয়েছে। সে একজন অনাথ। তার কাতর করুন মুখ, কষ্ট দেখে দর্শকরা ভাবলো স্মৃতিভ্রষ্ট অনুজকে কেউ এইসব শিখিয়েছে।
এ ব্যাক্তি অনুজ ছাড়া আর কেউ হতে পারে না। কিন্তু দর্শকদের সমস্ত আশা ভরসায় জল ঢেলে দর্শকদের ভাবনার উর্দ্ধে গিয়ে গল্প লিখলেন লীলা গঙ্গোপাধ্যায়। এই ব্যক্তির নাম অঙ্কুশ ভাটিয়া। যদিও অনুজরূপী এই অঙ্কুশকে ইতিমধ্যেই মন দিয়ে ফেলেছে গুড্ডি। যদিও অনুজকে সে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে অনুজ ছাড়া আর কাউকেই সে ভালবাসতে পারবে না।
অঙ্কুশের অতীত জেনে তার মাও তার স্বার্থ ত্যাগ করেছে কিন্তু তার পাশ ছাড়তে নারাজ গুড্ডি। আসলে অনুজ মারা যাওয়ার পর স্বামী যুধাজিৎকে ডিভোর্স দিয়ে মহান গুড্ডি বলেছিল, আমি অনুজ স্যারের মতো করে কাউকে ভালবাসতে পারিনি। অনুজের স্মৃতি নিয়েই আমি সারাটা জীবন কাটিয়ে দেবো। কিন্তু সেই গুড্ডি এখন প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে অঙ্কুশ ভাটিয়ার। এ কেমন বিচার গুড্ডির!