আজকাল বিনোদনপ্রেমী বাঙালি দর্শকদের কথা চিন্তা করে একের পর এক নতুন ধারাবাহিক আসছে। এর ফলে উঠে আসছে বেশ কিছু পরিচিত এবং অজানা মুখ।
যে অজানা মুখ গুলো একে একে উঠে আসছে তারা ও নিজেদের অভিনয়ের মাধ্যমে একে একে দর্শকদের মনে স্থান করে নিচ্ছে। আর যারা পুরনো অভিনেতা অভিনেত্রী তাদেরকে এই একই রাস্তা অতিক্রম করে সাফল্যে পৌঁছাতে হয়েছে।
এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনের দুনিয়ায় অন্যতম সফল অভিনেত্রী হিসেবে নাম নেওয়া হয় অভিনেত্রী তৃণা সাহার। বর্তমানে নায়িকা নিজের নামের থেকেও বেশি গুনগুন হিসেবে পরিচিত বাঙালি দর্শকদের মধ্যে।
View this post on Instagram
খড়কুটো ধারাবাহিকের মাধ্যমে অত্যাধিক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন এই বাঙালি অভিনেত্রী। তাই অভিনেত্রীর অনুরাগীর সংখ্যা খুব একটা কম নয়। তার ওপর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচন্ড সক্রিয় নায়িকা। তাই সেখানেও অভিনেত্রীর রয়েছে প্রচুর ফলোয়ার।
তবে অনেকেই তৃণা সাহার নায়িকা হয়ে ওঠার গল্প জানে না। একবার দিদি নাম্বার ওয়ানে এসে এই অভিনেত্রী নিজের জীবনের গল্প শেয়ার করেছিলেন রচনা ব্যানার্জীর সঙ্গে। মঞ্চে একইসঙ্গে উপস্থিত ছিলেন নায়িকার মা।
অভিনেত্রী জানিয়েছেন যে প্রথম দিকে অভিনেত্রী হওয়ার ইচ্ছে ছিল না তৃনা সাহার। তিনি শিক্ষিকা হতে চেয়েছিলেন। তবে অভিনয় জগতে আসার জন্য কষ্ট করতে হয়েছে নায়িকাকে। কারণ বহু বছর তিনি ভয়ে বাড়িতে জানাতেই পারেননি যে তিনি অভিনয় করতে চান।
View this post on Instagram
নায়িকার হঠাৎ করে ইচ্ছে হয়েছিল নিজের একটা কিছু করবেন তিনি। সেটা হতে পারে সিনেমা অথবা কোরিওগ্রাফি। নায়িকা এমবিএ, সিএস নিয়ে পড়াশোনা শেষ করে ঠিক করেন ওইদিকে না গিয়ে অভিনয় জগতে প্রবেশ করবেন তিনি। যদিও এই বিষয়টি প্রথমে নায়িকার মা-বাবা বিশ্বাস করতে চাননি।
অভিনয় জগতে প্রবেশের আগে বড় কোম্পানিতে চাকরি করেছেন তৃণা সাহা। কিন্তু চাকরি ছেড়ে দিয়ে নিজের স্বপ্ন পূরণ করার লক্ষ্যে এগিয়ে গিয়েছিলেন নায়িকা। এই নিয়ে মা-বাবার সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল এবং মা-বাবা রীতিমত কথা বলা বন্ধ করে দেন।
যদিও অনেকেই অভিনেত্রীর মাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন যে তিনি যাতে এখন রাজি হয়ে যান কারণ তাঁর মতে প্রথমে কিছুদিন কাজ করেই তৃণা আবার ফিরে আসবেন পুরনো পথে। ছয় মাস পর প্রথম কাজ পেলেন অভিনয় জগতে। তারপর আস্তে আস্তে বাবা-মা বিষয়টি মেনে নিতে লাগলেন।