আসল পঞ্চমী আর নকল পঞ্চমীর মাঝে ফেঁসে কিঞ্জল! কী করে সে চিনে নেবে আসল পঞ্চমীকে? আসছে ধামাকা পর্ব

স্টার জলসার পর্দায় বাংলা টেলিভিশনে এই প্রথমবারের মতো সাপেদের নিয়ে শুরু হয় একটি ধারাবাহিক পঞ্চমী। শুরুর দিকে এই গল্পটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। এমন কি টিআরপি তালিকায় প্রথম পাঁচের মধ্যেই থাকত পঞ্চমী। কিন্তু পরবর্তীতে টিআরপি তালিকায় ক্রমশ নিম্নমুখী হয়ে পড়ে এই ধারাবাহিকটি।

বলা যয় কার্যত অলৌকিক এবং অবাস্তবতার মোড়কে মোরা এই ধারাবাহিকটি দর্শকদের মনোরঞ্জন করতে সফল হয়েছে। আর এবার পঞ্চমী ধারাবাহিকের গল্পে আসছে জোর চমক। পরাবাস্তব এই গল্পটি এই মুহূর্তে স্টার জলসার অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক।

এই ধারাবাহিকের নায়িকা পঞ্চমী হচ্ছে একজন ইচ্ছাধারী নাগিন। বাবা নীলকন্ঠের আশীর্বাদধন্যা। তাঁকে যেকোন‌ও বিপদের হাত থেকে বাঁচান বাবা নীলকন্ঠ। বাবার মন্দিরেই জন্ম হয় পঞ্চমীর। জন্মের সময় নাড়ির বদলে ছিল সাপ ছিল পঞ্চমীর‌। তাঁর মধ্যে ছোট থেকেই অলৌকিক ক্ষমতা পরিলক্ষিত হয়। পঞ্চমীর স্বামী কিঞ্জল।

উল্লেখ্য, এই গল্পে রয়েছে কালনাগিনী চিত্রা। তাঁর জীবনের উদ্দেশ্যই হল পঞ্চমীর ক্ষতি করা। কিঞ্জলকে ছিনিয়ে নেওয়া। আর তাই পঞ্চমীর ক্ষতিসাধনে সদা তৎপর সে। কাল নাগিনী ও তাঁর গুরুদেবের হাত থেকে পঞ্চমীকে বাঁচিয়ে চলেছেন বাবা নীলকন্ঠ।

আর এই বাবা নীলকন্ঠের মন্দিরে নিজের সন্তানের জন্ম দেয় পঞ্চমী অন্যদিকে আবার সন্তানের জন্ম দেয় কালনাগিনী চিত্রাও। অর্থাৎ জন্ম হয় শুভশক্তির ও অশুভশক্তির‌। আর এবার পঞ্চমী ধারাবাহিকে এসেছে একটি বড় টুইস্ট।‌‌ যেখানে দেখা যাচ্ছে, চিত্রা পঞ্চমীর রূপ ধারণ করে মল্লিক বাড়িতে এসে নিজেকে পঞ্চমী বলে দাবি করছে। অন্যদিকে পঞ্চমীও নিজেকে পরিচয়কে জোরালো করছে। এই দুজনের মধ্যে নিজের স্ত্রীকে চিনে উঠতে পারছে না সে।‌ এই সময় শঙ্খিনী এসে কিঞ্জলকে বলে আসল পঞ্চমীকে চিনে নেওয়ার জন্য একটি পরীক্ষার আয়োজন করতে। কী সেই পরীক্ষা? ধুনুচি নাচ‌। পঞ্চমী এখন আর সাপ নেই তাই তার ধুনোর গন্ধে কষ্ট হবে না। কিন্তু চিত্রা এখনও সাপ আর তাই ধুনোর গন্ধে তার কষ্ট হতে পারে। কিঞ্জল কি এই পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে চিনে নিতে পারবে আসল পঞ্চমীকে?