আমাকে ভালোবাসতে গেলে অঙ্কুশকে ভালোবাসতে হবে! ‘একের পর এক পুরুষের সঙ্গে নষ্টামি করে মেয়েকে মানুষ না করার আক্ষেপ’! গুড্ডির ঢং গায়ে জ্বালা ধরাচ্ছে দর্শকদের

এই মুহূর্তে জলসার (Star Jalsha) পর্দায় চলা গুড্ডি (Guddi) ধারাবাহিকটিতে তীব্রমাত্রায় নোংরামি দেখানো হচ্ছে। নোংরামি, পরকীয়া দেখানোর সমস্ত সীমা পার করে গেছে এই ধারাবাহিকটি। ইতিমধ্যেই এই ধারাবাহিকটিকে ঘিরে নেটমাধ্যমে ক্ষোভের ঝড় উঠেছে। কিন্তু না বন্ধ হবেনা এই ধারাবাহিকটি।

লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখনীতে এই ধারাবাহিকটিকে ঘিরে বিতর্কের অন্ত নেই। বহুদিন ধরে এই ধারাবাহিকটির বন্ধের আবেদন করে আসছেন নেটিজেনরা। আসলে এককথায় বলা যায় এই ধারাবাহিকের নায়িকা চরিত্রহীন। আজ এই পুরুষ তো কাল ওই পুরুষ। এই রকম একটি পারিবা‌রিক শোতে এই রকম নোংরামি একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করছেন নেটিজেনরা।

অনুজকে মেরে এক‌ই চেহারার অঙ্কুশকে ক্রিমিনাল সাজিয়ে নিয়ে আসা হয়। ব্যস এক‌ই রূপে অঙ্কুশ ফিরতেই ফস্টিনস্টি শুরু গুড্ডির। জেগে ওঠে প্রেম! একসঙ্গে পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়ার স্বপ্ন। পালিতা কন্যা অযাচিত লোকের সঙ্গে মায়ের প্রেমের প্রতিবাদ করায় গুড্ডির মুখে মেয়েকে মানুষ না করতে পারার আক্ষেপ।

অঙ্কুশের জন্য সব করতে পারে গুড্ডি‌ (Guddi)। সে আদালতে প্রমাণ করে দেয় যে অঙ্কুশ নিজের জীবনে যা অপরাধ করেছে তা তার পরিবারকে প্রতিপালন করবার জন্য। এই তথ্য প্রমাণ করার জন্য অঙ্কুশ ভাটিয়ার মাকে আদালতে হাজির করে সে। সত্যি প্রমাণিত হয়।

এরপর অঙ্কুশের মা নিজের বড় ছেলেকে বাঁচানোর জন্য গুড্ডির কাছে নিজের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। এমনকী অঙ্কুশের জন্য গুড্ডিকে বিয়ের প্রস্তাবও দেন। গুড্ডির কাছে ভালোবাসা পেয়ে ক্রিমিনাল অঙ্কুশেরও গুড্ডিকে ছেড়ে যেতে মন চাইছিল না। অন্যদিকে অঙ্কুশকে সঙ্গে নিয়ে পাহাড়ে যাওয়ার স্বপ্ন পর্যন্ত দেখে ফেলেছে গুড্ডি। এমনকী ঋতাভরীর কথা হিসেবে সে বলছে আমাকে ভালোবাসতে গেলে আগে অঙ্কুশকে ভালোবাসতে হবে! আর এক মহিলার পুরুষের প্রতি এই আকাঙ্ক্ষা নেটিজেনদের একেবারেই ভালো লাগছে না।