আদর্শ বাবা! নিজের জেদ নয়, মেয়ের ভালোবাসাকে গুরুত্ব দিয়ে ডিভোর্সের পেপার ছিঁড়ে দিলেন মেঘের বাবা!

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিকগুলির মধ্যে একটি হল ইচ্ছে পুতুল (Icche Putul)। প্রথম থেকেই এই ধারাবাহিকটি দর্শকদের মনে নিজের জায়গা করে উঠতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু, প্রথম থেকেই এই ধারাবাহিকটিকে সহ্য করতে হয়েছে, প্রচুর কটাক্ষ। কখনও এই ধারাবাহিকটিকে তুলনা করা হয়েছে স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ইচ্ছে নদীর (Icche Nodi)সঙ্গে। আবার কখনও বা কটাক্ষ করা হয়েছে ধারাবাহিকে খলনায়িকার শাস্তি না পাওয়া নিয়ে।

কটাক্ষের মধ্যেও নিজের দর্শকদের ওপর বিশ্বাস, ভরসা রেখে আজও নিজের গতিতেই এগিয়ে যাচ্ছে ইচ্ছে পুতুল। এই ধারাবাহিকের গত কিছু পর্বে দেখা গিয়েছে, বিচ্ছেদের জন্য হয় কোর্টের বিচারক ছয় মাসের সময় দিয়েছে মেঘনীলকে। কিন্তু নীল ভাবে, সে যদি মেঘের সঙ্গে থাকে তাহলে হয়তো মেঘের অসুবিধা হবে। তাই সে সিদ্ধান্ত নেয়, মেঘকে ছেড়ে ছয় মাসের জন্য দিল্লি চলে যাওয়ার।

আর প্রায় ছয় মাস একে অপরের সঙ্গে কোনও যোগাযোগই রাখেনি মেঘ ও নীল। প্রায় ৬ মাসের লিপ নেওয়ার পর, এখন ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে, ৬ মাস পর নীল বাড়ি ফিরে এসেছে। বাড়ির সবাই তার ফিরে আসায়, বেশ খুশি হয়েছে। ঠাম্মি জানায় সে আরও খুশি হত যদি নীল মেঘকে নিয়ে ফিরে আসত। সে জিজ্ঞাসা করে আগামীকাল কি সত্যিই মেঘকে ডিভোর্স দিয়ে দেবে নীল? এর উত্তরে নীল কিছুই বলতে পারেনি। শুধু কোন মনে ভেবেগেছে মেঘকে সে কতটা ভালবাসে তার কথা।

অন্যদিকে দেখা যায়, প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছে গিনি ও জিষ্ণু। একটা পার্কে বসে, তারা নিজেদের মতো সময় কাটাচ্ছিল। এমন সময়, জিষ্ণু গিনিকে বলে যে তার সঙ্গে থাকতে হয়তো গিনির অসুবিধা হবে। কারন জিষ্ণুদের বাড়ি গিনিদর বাড়ির থেকে অনেকটাই ছোট। আর সে বেশি টাকা ইনকাম করে না। তখন গিনি বলে, সে তাদের ভালবাসার সম্পর্কের মধ্যে এসব কিছুকে আসতেই দেবে না। সে শুধু ভালবাসা, বিশ্বাস ও রেসপেক্ট চায় এই সম্পর্কটা থেকে। আর জিষ্ণুও জানায় যে, গিনির অতীত সম্পর্কে কিছুই যায় আসে না। সে এই গিনিকে চেনে আর তাকেই ভালবাসে।

আরো পড়ুন: কাজের অছিলায় জনপ্রিয় অভিনেত্রীর বু’কে হাত দিল সাংবাদিক! চরম অ’শ্লী’ল’তা দেখে শাস্তির দাবি সোশ্যাল মিডিয়ায়

এমন সময়, গিনিকে ফোন করে মেঘ জিজ্ঞাসা করে যে, জিষ্ণু তাকে নিজের মনের কথা জানিয়েছে কি না। উত্তরে গিনি বলে, তাকে গান গেয়ে নিজের ভালবাসার কথা জানিয়েছে জিষ্ণু। এই শুনে খুব খুশি হয় মেঘ। মেঘের ফোন কাটার পর গিনি জিষ্ণুকে জিজ্ঞাসা করে যে, সে এখনও কি মেঘকে ভালবাসে। তার উত্তরে জিষ্ণু বলে, একসময় মেঘের প্রতি তার ফিলিং জন্মালেও নিজেকে নীল ও মেঘের মধ্যে থেকে অনেক আগেই সরিয়ে নিয়েছে সে।

You cannot copy content of this page