ধারাবাহিকে যেমন নায়ক নায়িকা থাকে সেরকম ভিলেনের চরিত্রটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। অধিকাংশ ধারাবাহিকে মূল ভিলেন হিসেবে খলনায়িকাকে দেখা যায়। কিন্তু মিঠাই ধারাবাহিকের নেগেটিভ চরিত্রে একজন পুরুষই রয়েছেন। খলনায়িকা মহিলা ছিলেন তবে মিঠাইয়ের সংস্পর্শে এসে তিনি এখন ভালোর দিকে যাচ্ছেন।
মাঝে পিসেমশাই আর আগারওয়ালের ছোট ছেলে ওমি আবার প্রচন্ড বাড়াবাড়ি করেছিল এবং সিদ্ধার্থকে মারতে চেয়েছিল তবে সিদ্ধার্থ রকস্টার সাজে কাম ব্যাক করে শেষে ওমি এবং পিসেমশাইকে ধরিয়ে দিয়েছিল পুলিশের হাতে। কিছুদিন আগে ওমি অসুস্থতার নাটক করে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যায় জেল থেকে এবং তারপরেই মনোহরাতে এসে সিদ্ধার্থকে মারার চেষ্টা করতে থাকে। এখন বোম বেঁধেছে সে মনোহরার ডাইনিং রুমের টিভির পিছনে, গোটা মনোহরাকেই উড়িয়ে দেবে সে।
থাকবে আগামী পর্বের প্রিক্যাপ হিসেবে আজকে আমরা দেখতে পাবো ওমির দেহ নিথর অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছে। পুলিশের সঙ্গে লড়াই করার সময় পুলিশের গুলি খেয়ে মৃত্যু হয়েছে তার। এই দৃশ্যটা দেখে চমকে উঠেছেন নেটিজেনরা এবং অধিকাংশরাই বলছেন যে একেবারে মেরে ফেললেন?
View this post on Instagram
আসলে ভিলেন হিসাবে বিগত দু-তিন দিনে ওমি আগারওয়াল সেজে জন ভট্টাচার্যের পারফরম্যান্স দুর্ধর্ষ। এক কথায় চরম, এক্সপ্রেশনে আদৃত রয়কে গুনে গুনে দশ গোল দেবেন জন ভট্টাচার্য এটা স্বীকার করতেই হবে। সিদ্ধার্থর এখানে রাগের অভিব্যক্তি ছাড়া মুখে অন্য কোন এক্সপ্রেশন আমরা দেখতে পাইনি কিন্তু জন ভট্টাচার্য অসাধারণ।
অনেকের খুব খারাপ লাগছে ওমি আগারওয়ালের মৃত্যুতে। তারা বলছেন যে তাকে ধরে জেলে ভরতে পারতেন এবার শক্তভাবে। মারতে পারতেন ধরে, কিন্তু একেবারে শেষ করে দেওয়াটা খারাপ লাগছে। কারণ এবারে মিঠাইয়ে আর ঠিক সেই অর্থে জমজমাট খলনায়ক বলতে কেউ থাকলো না। সিডের সঙ্গে টক্কর দেওয়ার আর কেউ নেই। তবে সকলেই জন ভট্টাচার্যকে খুশি খুশি বিদায় জানাচ্ছেন তার আগামী প্রজেক্টের জন্য, দেবাদ্রিতা বসুর সঙ্গে আলোর ঠিকানা যেটা আসছে সান বাংলায়।