বাংলা টেলিভিশনের এই মুহূর্তের জন্য প্রিয়তম ধারাবাহিক হচ্ছে ‘অনুরাগের ছোঁয়া।’ টিআরপি তালিকাতে প্রতি সপ্তাহে কামাল করছে এই ধারাবাহিকটি। একের পর এক জমাটি পর্ব সেই সঙ্গে অভিনেতা অভিনেত্রীদের জনপ্রিয়তা এই ধারাবাহিককে এক অন্য সীমায় নিয়ে গেছে।
যদিও এই ধারাবাহিকে অবিশ্বাস, মান অভিমানের পালা এখনও শেষ হয়নি। ফেরেনি প্রেমের ট্র্যাক। কিন্তু তা সত্ত্বেও জনপ্রিয়তায় কিন্তু কোনও ভাটা পড়েনি। দীপা-সূর্যর মধ্যেকার মনোমালিন্য বা সোনা-রূপার জন্মপরিচয় সবকিছু নিয়েই এখনও জল্পনা-কল্পনা চলছে।
কিন্তু তা সত্ত্বেও জনপ্রিয়তা অটুট এই ধারাবাহিকের। রূপার জন্মপরিচয় নিয়ে সন্দেহ যায় না সূর্যর। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ঘটনা প্রমাণ সামনে এলেও কোনও কিছুকেই যেন মেনে নিতে চায়না সে। বলা যায় চোখ বন্ধ করে রয়েছে সূর্য। কোন প্রমাণই সে বিশ্বাস করে না। আর সূর্যর এই বুদ্ধিহীনতা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন সময় দর্শকরা।
জানা গেছে কবীর মৃত্যু শয্যায়। এই কবীরকে দীপা নিজের দাদা মনে করলেও সূর্য মনে করে রূপার বাবা সে। যদিও বিভিন্ন সময় কবীর যে রূপার বাবা নয় তা প্রমাণ পেলেও নিজের অন্ধবিশ্বাসে ডুবে রয়েছে সূর্য। সম্প্রতি নিজের বোন উর্মির কাছ থেকে দীপা জানতে পারে যে কবীর মৃত্যু শয্যায়। আর নিজের দাদার এই অবস্থার কথা জানতে পেরে থাকতে পারেনি দীপা ছুটে যায় সে।
সেখানে গিয়ে কবীরের সঙ্গে দেখা করলে কবীর বলে যে সে রূপাকে নিজের মেয়ের মতোই ভালোবাসে। তাঁর নিজের যেহেতু কোনও সন্তান নেই তাই নিজের সমস্ত সম্পত্তির উত্তরাধিকারী করে যেতে চায় সে রূপাকে। আড়াল থেকে সবটা শুনে বিস্মিত হয় সূর্য। একই সঙ্গে কবীর দীপাকে বলে মৃত্যুর আগে DNA টেস্ট করিয়ে সূর্যর ভুল ভাঙিয়ে দীপাকে সংসার ফিরিয়ে দেবে সে।