একটু আলাদাভাবেই শেষ হল কার কাছে কই মনের কথা, অন্তিম পর্ব দেখে আপ্লুত দর্শকরা!

জি বাংলার (Zee Bangla) একসময়ের জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Kotha)। শুরুর থেকেই অর্গানিক স্টুডিওর প্রযোজিত এই ধারাবাহিকটির ব্যতিক্রমী কাহিনী ভীষণভাবে আকৃষ্ট করেছিল দর্শকদের। বিয়ের পর শিমুলের জীবনের আমূল পরিবর্তন, তার তিন বন্ধু সুচরিতা, শীর্ষা এবং বিপাশা জীবনের ওঠা পড়ার গল্প ভীষণভাবে পছন্দ করেছেন দর্শকরা। শুরুর দিকে ২ বার টপারও হয়েছে ধারাবাহিকটি

একেবারে সাধারণ বাড়ির মেয়ে বউদের গল্পকেই অসাধারণভাবে কাহিনীর অঙ্গিতে ফুটিয়ে তুলেছিলেন লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। প্রথম স্বামী এবং শাশুড়ি শিমুলের ওপর মানসিকভাবে অত্যাচার করলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হৃদয় পরিবর্তন হয় তাদের। শিমুলকে ভালোবেসে কাছে টেনে নেয় পরাগ, মারা যায় সুচরিতার স্বামী, চন্দনের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায় বিপাশার সবটাই পর্দায় ভীষণ উপভোগ করেছেন দর্শকরা।

বারবার ট্রোলিংয়ের মুখে পড়েছে কার কাছে কই মনের কথা, তবে কুড়িয়েছে প্রশংসাও

দিনে দিনে বাড়তে থাকে টিআরপি। যদিও শুরুর থেকেই পরাগ, শিমুলের জুটি সেইভাবে দাগ কাটতে পারেনি দর্শকদের মনে। তাছাড়াও ধারাবাহিকের প্রত্যেকের স্বামীর পরকীয়া, শিমুলের সঙ্গে শতদ্রুর সম্পর্ক, প্রতিক্ষাকে বান্ধবীর চরিত্রে দেখিয়েও খল চরিত্রে করে দেওয়া এই সব বিষয় নিয়েও বহুবার ট্রোলিংয়ের সম্মুখীন হয়েছে ধারাবাহিকটি। তবে ট্রোলিংয়ের পাশাপাশি ধারাবাহিকে পুতুলের অভিনয়, বিপাশার চরিত্রটির ভীষণভাবে প্রশংসাও করেছেন দর্শকরা।

কিভাবে শেষ হল কার কাছে কই মনের কথা?

যদিও শেষের কয়েক মাস ধরে একেবারেই টিআরপি তালিকায় ভালো ফল করতে পারেনি কার কাছে কই মনের কথা। ফলে পরিবর্তন করা হয় সময় কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি বিশেষ। ফলেই বছর ঘুরতে না ঘুরতেই মাত্র ৩৩৩ পর্বে বিদায় নিচ্ছে কার কাছে কই মনের কথা। গতকালই হয়ে গেছে শেষ পর্বের সম্প্রচার। ধারাবাহিকের শেষ পর্ব দেখা গেছে গল্প এগিয়ে গেছে ৩ বছর। নিজেদের জীবনে এগিয়ে গেছে সকলে। স্কুলের চাকরিটা এখনও করছে শিমুল।

আরও পড়ুন: রুদ্ধশ্বাস পর্ব অনুরাগে! সূর্যের স্মৃতি ফেরা রুখতে মোক্ষম চাল চালল ইরা! নিজের প্রাণ সংশয় করেও দীপার পরিকল্পনা ভেস্তে দিল সে

প্রতীক্ষার সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে গেছে পলাশের। এখন একটি মেয়েকে বিয়ে করে বেশ সুখেই ঘর সংসার করছে সে। পুতুল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে গানের জগতে। বিদেশ থেকেই গান গাওয়ার সুযোগ পেয়েছে সে। সঞ্জয় এবং মেয়েকে নিয়ে বিদেশে সুখে শান্তিতে সংসার করছে সুচরিতা, মুম্বাইয়ে চলে গেছে বিপাশা। সেখানেই একটি কোম্পানিতে এইচআর সে। শিমুল এবং শীর্ষা দুজনেই সন্তানসম্ভবা। একটি কফি শপে দেখা করেন সবাই। নিজেদের সুখ দুঃখের কথা ভাগ করে নেন তিনজনে। পুতুলের গান দিয়েই শেষ হয় ধারাবাহিকটি। বোঝাই যাচ্ছে বেশ তাড়াহুড়ো করে শেষ হল গল্পটি। তবে অন্তিম পর্ব দেখে ভীষণ খুশি হয়েছেন দর্শকরা।

 

Back to top button