মিশকাকে খুন করেছে লাবণ্য! নিজের কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে স্বীকার করল! আজ সেনগুপ্ত বাড়িতে নতুন ঝড়

স্টার জলসা একের পর এক নতুন নতুন গল্প এবং নতুন নতুন সিরিয়াল আনছে। কিন্তু তার মধ্যেও যে পুরনো সিরিয়াল এখন সব থেকে বেশি জমিয়ে দিয়েছে দর্শকদের মন সেটি হল অনুরাগের ছোঁয়া (Anurager Chhowa)। টিআরপি এবং জনপ্রিয়তা দুই দিক থেকেই বিচার করে দেখলে এই সিরিয়াল হল সবার সেরা এখন। এমন অনেক নতুন সিরিয়াল আছে। যেগুলি এই সিরিয়ালের মত এতটা দর্শকদের মন জয় করতে পারেনি এখন পর্যন্ত। তাই এখন দীর্ঘ ব্যাটিং করে চলেছে সূর্য আর দীপার গল্প।

জেলে সূর্য

এই মুহূর্তে জেলে রয়েছে সূর্য সেনগুপ্ত। তার অপরাধ মিশকাকে খুন করে দেহ লোপাট করে দিয়েছে সে। তবে সূর্য এমন কিছু করেনি এবং সে সেটা সবাইকে বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশ তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে তাকে ধরে নিয়ে যায় জেলে।
এদিকে জেলে যাওয়ার আগে সাধারণ মানুষ এবং সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় তাকে। সাধারণ মানুষ বলতে থাকে এতদিন তারা ভাবতো সূর্য আসলে ভগবান কিন্তু সে আসলে শয়তান। এদিকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন তুলে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধু এবং সহকর্মী হিসেবে মিশকার সঙ্গে তার যে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল সেটা নিয়ে সে কি বলবে নিজের স্বপক্ষে। সে আবার বোঝাতে চাইলেও কেউ সত্যিটা বোঝেনা এবং সাধারণ মানুষ ইট ছুটে থাকে তাকে। দীপা এসে বাঁচাতে গেলে লাগে তার কপালে।

আজকের পর্ব

আজকের পর্বে দেখা যায় যে দীপা সূর্যকে বলে সে কোন যেকোনোভাবেই হোক নিজের স্বামীকে নির্দোষ প্রমাণ করেই ছাড়বে এবং জেল থেকে বের করে আনবে। এদিকে তার মধ্যেই সূর্যর জামিন করাতে পৌঁছে যায় কাকাই, জয় উর্মি এবং দীপা। কিন্তু সেখানে পুলিশ অফিসার বলে এই ধরনের মামলায় জামিন হয় না। কাকাই তখন প্রশ্ন করে যে কী প্রমাণ রয়েছে? উত্তরে পুলিশ অফিসার জানায় যে মিশকার বাড়ির সিসিটিভি ফুটেছে দেখা গেছে সূর্য সেখানে গেছে এবং আরো এক সাক্ষী বলেছে যে সে রক্ত দেখেছে পড়ে থাকতে। সেই সাক্ষী হল দীপা আর উর্মির মা রত্না। এতে আরও চমকে যায় সবাই।

বাড়ি ফিরে এসে উর্মি তার মাকে প্রশ্ন করে যে কেন তিনি এই কাজটা করলেন। তিনি স্বীকার করেন যে মিশকার বাড়ি গেছিলেন কিন্তু সম্পত্তি হাতাতে সেটা বলেননি। এদিকে এর মধ্যেই দেখা যায় লাবণ্য সূর্যর ঘরে ঢুকে পিস্তল বের করে নীচে নেমে এসেছে। সে সবাইকে বলে আসলে মিশকাকে বুঝিয়ে কোনও কাজ না হওয়ায় তিনি খুন করেছেন তাকে আর সূর্য খুন করেনি। এই কথায় প্রত্যেকে চমকে যায় এবং কেউ এটা বিশ্বাস করে না। সকলে তাকে থামাতে চায় এবং বোঝাতে চাই যে সে এরকম কিছু করলে সূর্যের বিপদ আরও বেড়ে যাবে। কিন্তু তখন লাবণ্য নিজের কপালে ধরে বন্দুক কারণ সে নিজেই নিজের ছেলেকে বাঁচাবে।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Star Jalsha (@starjalsha)

Back to top button