অন্তিম মুহূর্তে সন্ধ্যাতারা জমজমাট! সন্ধ্যাকে মারার অপরাধে পুলিশের হাতে গ্রেফতার ঈশ্বর, শৈল! দারুণ খুশি দর্শকরা

স্টার জলসার (Star Jalsha) একসময়ের জনপ্রিয় ধারাবাহিক সন্ধ্যাতারা (Sandhyatara) চলে এসেছে তাদের শেষ পর্যায়ে। সন্ধ্যা এবং তারা দুবোনের অসাধারণ গল্পটি মন হয়ে করেছিল অনেকেরই তবে ধারাবাহিকটি প্রতিপক্ষ ধারাবাহিক ফুলকির থেকে জিতে উঠতে পারেনি কখনই তাই মাত্র ৮ মাসের মধ্যেই শেষ হয়ে যাচ্ছে ধারাবাহিক সন্ধ্যাতারা। ধারাবাহিকে ইতিমধ্যেই ঈশ্বর পরিকল্পনা করে সন্ধ্যাকে সৃজকুমারি খাইয়ে দিয়েছে ফলত অসুস্থ হয়ে পড়ে সন্ধ্যা। তার পরিস্থিতি দেখে চিন্তিত হয়ে পড়ে আকাশও।

আকাশ বলে থাকে সন্ধ্যার পাশে, সে বারবার আকাশকে বলতে থাকে যে তাদের সন্তানের কিছু হবেনা তো যেটা দেখে খুব কষ্ট পায় আকাশ। তাই সন্ধ্যাকে আরাম করতে বলে একটি গান চালিয়ে দেয় সে। সন্ধ্যাও সেটা শুনে আস্তে আস্তে ঘুমিয়ে পড়ে। ওদিকে সন্ধ্যার এই অবস্থা কে করেছে সেটা জানার জন্য বিজুরিকে সকলের ওপর নতুন রাখতে বলে আকাশনীল। সেও ভেবেই নেয় যে করেই হোক সন্ধ্যার এই পরিস্থিতি কার জন্য হয়েছে সেটা সে বের করেই ছাড়বে।

বিজুরি ভেবে নেয় সে মন্টুকে ধরবে আর তার থেকেই সব সত্যিটা বের করবে। যেমন ভাবনা তেমন কাজ। মন্টুকে একে পেয়ে বিজুরী ডেকে নিয়ে আসে মন্টু কুমারকে। মন্টু প্রথমে জানিয়ে দেয় সে যাবে না কারণ তার বিজুরীকে একদম বিশ্বাস হয়না। তখনই বীজুরী তাকে বলে তার সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে। সেটা কি মন্টু জানতে চাইলে বিজুরী তার হাতে একটি গ্লাস ধরিয়ে দেয় এবং বলে এটি বাবার ভোলানাথের প্রসাদ এবং এটি যেন সে খেয়ে নেয়।

সেটা শুনে প্রথমে একটি ইতস্তত করতে থাকে মন্টু। কিন্তু বিজুরী তাকে আর একবার জিজ্ঞাসা করায় সে খেয়ে নেয় তখন বিজুরীকে মন্টু জিজ্ঞাসা করে আরও এক গ্লাস আছে নাকি কিন্তু তাকে বারণ করে দেয় বিজুরী। মনে মনে ভাবে মন্টুর বেশি নেশা হয়ে গেলে ঘুমিয়ে পড়বে। তখন মন্টুকে সৃজকুমারীর কথা জিজ্ঞাসা করে বিজুরী কিন্তু সে প্রথমে চুপ করে গেলেও কিছু বলতে চায়না। তখন বিজুরি বুঝতে পারে ও কিছু লকাছে তাই বিজুরী গিয়ে ফোন করে আকাশকে।

আকাশ তাকে বুদ্ধি দেয় যে মন্টুকে সে যেন বিয় দেখায় কিন্তু মন্টুর কাছে দিয়ে বিজুরী দেখে মন্টু ঘুমিয়ে পড়েছে। তখন না পারে বিজুরী ঠাকুরের কাছে ক্ষমা চেয়ে সেখান থেকে নিয়ে কিছুটা সিঁদুর পরে নেয় আর কিছুটা মন্টুর হাতে লাগিয়ে দেয় আর ভাবে সে সবটাই সন্ধ্যার জন্য করছে। তারপর সে মন্টুকে ডেকে বলে সে নেশার ঘরে বিজুরীকে বিয়ে করেছে এবং সেটা সে সবাইকে বলে দেবে তখন ভয় পেয়ে মন্টু তাকে বলে দেয় এইসব শৈল করেছে এবং সৃজকুমারী তারা সুক্ততে মিশিয়ে ছিল। তবে সৃজকুমারীর শিশি তারা ভেঙে ফেলেছে।

তখন বিজুরী ভাবে সে সুক্তটা সরিয়ে দেবে এবং রান্না ঘরে গিয়ে সুক্ত সরিয়ে দেয়। পরে শৈল আর পিসিমা গিয়ে সুক্ত খোঁজার চেষ্টা করলেও তারা রান্না ঘরে ঢুকতে পারেনা। ওদিকে ডাক্তার সন্ধ্যা আর তার বাচ্চা সুস্থ আছে বলে তাদের ছুটি দিয়ে দেয়। তখন আকাশ সন্ধ্যাকে নিয়ে কোলে করে চলে আসে বাড়িতে। সেই মুহূর্তে পিসিমার রাস্তা আটকে শৈল বলে সুক্ত তারা পাবে না। তখনই পুলিশ চলে আসে আর পিসিমা ভয়ে বলে দেয় যে সবটা শৈল করেছে তখন শৈল নিজেকে বাঁচাতে বলে দেয় তার দাদার পরিকল্পনার কথা।

আরও পড়ুনঃ জবর খবর! এবার সিনেমা ছেড়ে ছোট পর্দায় ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত! আসন্ন ধারাবাহিকে শাশুড়ির চরিত্রে ধরা দেবেন তিনি! খবর ফাঁস

সেটা শুনে তিনজনকেই গ্রেফতার করে পুলিশ কিন্তু যাওয়ার সময় ঈশ্বর সন্ধ্যাকে বলে সে ফিরে আসবে। আর বিজুরী বলে সে মন্টুকে বিয়ে করবে। তারপর সন্ধ্যাকে মাঠান খেতে বসালে সন্ধ্যা আকাশকে জড়িয়ে বলে সে তাকে মেনে নিচ্ছে এবং তাকে সে খুব ভালোবাসে। সেটা শুনে খুশি হয় সকলে এবং মাঠান সন্ধ্যাকে খাইয়ে দেয় আর আকাশ তাকে জড়িয়ে বসে থাকে। এইভাবেই শেষ হয় সন্ধ্যাতারা ধারাবাহিকটি। তাহলে আপনারা করা মিস করতে চলছেন ধারাবাহিকটিকে?