বাংলা টেলিভিশনের এই মুহূর্তে যে কটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো স্টার জলসার নতুন শুরু হওয়া ধারাবাহিক ‘মেয়েবেলা’। মাত্র কয়েকদিন হলো এই ধারাবাহিক শুরু হয়েছে এরই মধ্যে দর্শকমহলে সকলেই এই গল্পের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। এই ধারাবাহিকের নায়ক নির্ঝরের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে অভিনেতা অর্পণ ঘোষাল এবং নায়িকা মৌ এর চরিত্রের অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে অভিনেত্রী স্বীকৃতি মজুমদারকে। সেই সঙ্গে নায়কের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী রূপা গাঙ্গুলী। এই চরিত্রটিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্র ধারাবাহিকে।
ধারাবাহিক শুরুর প্রথম থেকেই প্রত্যেকটা চরিত্রের সাবলীল অভিনয় দর্শকমহলে প্রশংসিত হয়েছে। প্রসঙ্গতই ধারাবাহিকের যারা নিয়মিত দর্শক তারা জানেন যে এই মুহূর্তে নায়ক এবং নায়কের পরিবার অর্থাৎ মিত্র পরিবার খুব বড় সমস্যার মধ্যে পড়েছে। একটা চক্রান্তের শিকার হয়ে এই মুহূর্তে নির্ঝরের প্রাণ এবং মিত্র পরিবারের সম্মান দুটোই সংকটের মুখে।
তাদেরকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ২ কোটি টাকা জোগাড় করতে হবে আর না হলে নির্ঝরকে জেলে যেতে হবে। সম্প্রতি দেখানো হয়েছে নির্ঝর সবদিক থেকে যখন কিছু করে উঠতে পারছে না তখন সে আ’ত্ম’হ’ত্যার চেষ্টা করে। আর সেখান থেকে তাকে বাঁচায় মৌ। উল্টোদিকে মৌয়ের মেসো তাদের এই অসহায়তার সুযোগ নিয়ে নির্ঝরের ঠাম্মার কাছে একটা প্রস্তাব দিয়েছে।
সে বলেছে মিত্র বাড়ির নিচের তলাটা তার কাছে বিক্রি করতে হবে এবং মৌ এর সঙ্গে ডোডো অর্থাৎ নির্ঝরের বিয়ে দিতে হবে। তবেই সে তাদেরকে টাকা দিয়ে সাহায্য করবে। আর এই কথা শুনে বীথি অর্থাৎ নির্ঝরের মা কিছুতেই রাজি হয়নি। কিন্তু ঠাম্মি সহ নির্ঝরের বাবা সকলেই আর কোনো পথ খোলা নেই দেখে এই প্রস্তাবে রাজি হয়ে গেছে।
পরবর্তীতে দেখা যাবে নির্ঝরও মৌকে বিয়ে করতে রাজি হবে আর সেটা এখনো পর্যন্ত দর্শক প্রোমোতেও দেখতে পেয়েছে। কিন্তু মৌ এই বিয়ে করতে রাজি হয় না। তার কারণ প্রথম থেকেই দেখা গেছে মৌ অসহায় হলেও সে অত্যন্ত ভালো একটি মেয়ে। তাই কারোর অসহায়তার সুযোগ নিয়ে সে এত বড় ভুল করবে না। সে নিজের চোখে দেখেছে ডোডো এবং চাঁদনী একে অপরকে ঠিক কতটা ভালোবাসে।
কিন্তু পরবর্তী দিনে মৌ এর ওপরও কোনো চাপ সৃষ্টি হবে এমনটাই মনে করছে দর্শক। তার কারণ ধারাবাহিকের প্রথম প্রোমোতেই দেখা গেছে নির্ঝর এবং মৌয়ের বিয়ে হয়েছে। তাই এবার দেখার পরবর্তী দিনে ডোডোকে বাঁচানোর জন্য মৌ এই বিয়েতে রাজি হয় কিনা!