সম্প্রতি স্টার জলসায় যে কটি নতুন ধারাবাহিক শুরু হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো ‘পঞ্চমী’। শুরুর প্রথম থেকেই ভালোই জনপ্রিয়তা অর্জন করে নিয়েছে এই ধারাবাহিক। গল্প অনুসারে এই ধারাবাহিকের নায়িকা পঞ্চমী হলো এক ইচ্ছাধারী নাগিন তবে পঞ্চমী তার নিজের পরিচয় নিজেই জানেনা। তার কারণ হলো মায়ের মৃত্যুর পর সে বড় হয়েছে এক মন্দিরের পুরোহিত এবং তার স্ত্রীর কাছে। পঞ্চমীর মা পঞ্চমীকে জন্ম দেওয়ার পরেই মারা যায় তাই তার জন্মের ইতিহাস সম্পর্কে কিছুই জানেনা সে।
উল্টোদিকে ধারাবাহিকের গল্পে দেখানো হয়েছে যে পঞ্চমীর মা খুন হয়েছে এবং তার খুনের পেছনে যার হাত রয়েছে তার গলাতে থাকবে শঙ্খের মালা। আর ঘটনাচক্রে ধারাবাহিকের নায়ক কিঞ্জলের গলায় তেমনি একটি মালা আছে। তাই জন্য নাগমাতারা সকলে ভাবেন যে পঞ্চমীর মায়ের খুনী হল কিঞ্জল তাই তারা এই খুনের প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করে।
সেই সঙ্গে ধারাবাহিকে পঞ্চমী সাপেদের কথা শুনতে পারে। কাউকে সাপে কাটতে এলে তাকে বাঁচাতে ছুটে যায় সে। সাপেরাও পঞ্চমীর কথা শুনে মানুষটিকে না কেটে চলে যায়। আর পঞ্চমীর এই গুণের জন্যই কিঞ্জলের মা চায় যে পঞ্চমী তাদের সাথে যাক কারণ কিঞ্জলের সাপে বিপদ রয়েছে।
উল্টোদিকে সম্প্রতি গল্পে দেখানো হয়েছে পঞ্চমীর পালিত মা অর্থাৎ মন্দিরের পুরোহিতের স্ত্রী তার বিয়ে না হলে তাকে গ্রাম থেকে কোথাও যেতে দিতে চায় না। আর তখনই পঞ্চমীর জীবন বাঁচানোর জন্য লাল রং দিয়ে পঞ্চমীর সিঁথি রাঙিয়ে দেয় কিঞ্জল। তারপরে কিঞ্জলের বাড়িতে এসে পঞ্চমী দুবার সাপে কাটা থেকে বাঁচায় তাকে। এরপর দেখা যাচ্ছে এক নাগমাতা পঞ্চমীর কাছে এসে বলে ‘পঞ্চমী এই হার যার সে তোর মায়ের খুনি’। কিন্তু পঞ্চমী এই সমস্ত কথা শুনতে পায় না সে শুধু দেখে একজন সাপ মানুষ হয়ে গেল। যা দেখে রীতিমতো ভয় পেয়ে যায় সে। তারপরেই পঞ্চমী ধর্ম সংকটে পড়ে যায়। সে ভাবতে শুরু করে যে সে কী করে বুঝবে কে সাপ আর কে সাপ থেকে মানুষ হয়েছে।