“রূপা সব ঠিক করে দেবে…!” অসহায় মায়ের পাশে এসে দাঁড়ালো ছোট্ট রূপা! ‘অনুরাগের ছোঁয়ায়’ আসছে বিরাট চমক

স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chowwa)। এই ধারাবাহিকের সাম্প্রতিক গল্পের মোড় চোখে জল আনছে দর্শকদের। একইসঙ্গে গল্পের নায়িকা দীপার লড়াই ক্রমে হয়ে উঠছে সকলের অনুপ্রেরণা। ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে, সূর্য-দীপার মেয়ে রূপা অসুস্থ। হাসপাতালে ডাক্তারি চেক আপ করাতে গিয়ে হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যায় সে। ডাক্তার তাঁকে পরীক্ষা করে বলে, খুব তাড়াতাড়ি চিকিৎসা করাতে হবে রূপার। যার জন্য দরকার মোটা অঙ্কের টাকা।

এদিকে, হাসপাতালের বেডে শুয়ে মায়ের দিকে করুন চোখে তাকিয়ে রূপা জানায়, সে বাঁচতে চায়। সে তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতে চায়।একরত্তি মেয়ের মুখে বাঁচার আর্জি শুনে নিজেকে ঠিক রাখতে পারে না মা দীপা। সে ছুটে চলে যায় সেনগুপ্ত বাড়ি। সেখানে গিয়ে লাবণ্য সেনগুপ্তর পায়ে পড়ে কেঁদে ওঠে দীপা। হাতজোড় করে অর্থ সাহায্য চায় সে। প্রাণভিক্ষা চায় তার কোলের সন্তানের। দীপার এই ভেঙে পড়ার মাঝেই সেনগুপ্ত বাড়িতে হাজির হয় মিশকার পাপাই।

মিশকার পাপাই জানায়, লাবণ্য সেনগুপ্ত নিজেই এই বাড়ি তাঁদের লিখে দিয়েছে। তাই এ বাড়ির উপর আর কোনো অধিকার নেই লাবণ্য সেনগুপ্তর। সবটা শুনে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে সবার। সেই সময় ঘুরে দাঁড়ায় দীপা। কড়া স্বরে সে বলে এই বাড়ি যদি সেনগুপ্তদের না হয়, তবে পারিজাত সেনও বাড়ির মালিক হতে পারবে না। আইনি পথে লড়ে সেনগুপ্ত বাড়িকে উদ্ধার করবে দীপা। এরপর সে সেনগুপ্ত পরিবারের সবাইকে নিয়ে চলে আসে তাঁর একচালার আশ্রয় বাড়িতে।

সেনগুপ্তদের নিজের বাড়িতে রেখে হাসপাতালে ছুটে যায় দীপা। ডাক্তারদের কাছে হাতজোড় করে বলে, টাকার জন্য তাঁর মেয়ের চিকিৎসা যেন বন্ধ না হয়। কিন্তু ডাক্তারদের হাত বাঁধা। তাঁরা বলেন, লোন নিয়ে দীপা যেন টাকার ব্যবস্থা করে। নয়তো রূপার সার্জারি সম্ভব নয়। এদিকে ছোট্ট সোনা তাঁর মাকে প্রশ্ন করে, “দিদিভাইরা তোমায় টাকা দিল না?” দীপা উত্তর দেয়, সেনগুপ্তরাও এখন নিঃস্ব। মিশকার পাপাই তাঁদের বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। এখন তাঁরা দীপার সঙ্গেই থাকবে।

অন্যদিকে, অর্জুনের সঙ্গেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। সেও আর ঢাল হয়ে নেই দীপার পাশে। এখন লড়াইয়ের ময়দানে একা দীপা। মায়ের এই অসহায় অবস্থার কথা হাসপাতালের বেডে শুয়ে ভাবতে থাকে ছোট্ট রূপা। সে বলে, রূপা সব ঠিক করে দেবে।

হাসপাতালের ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলতে চায় সে। উদভ্রান্ত দীপা ছোটে টাকা জোগাড় করতে। রূপা মনে মনে ভাবে, সবটা ঠিক করে দেবে রূপা নিজেই। এখন কী করবে সে? কিভাবে এই কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করবে মা-মেয়ে? ‘অনুরাগের ছোঁয়ার’ আগামী পর্বে মিলবে উত্তর।