সম্প্রতি জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় খ্যাত ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar kache koi moner kotha) ধারাবাহিকে এসেছে একের পর এক নতুন মোড়। বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেছে পরাগ ও শিমুলের। সঙ্গে, দ্বিতীয়বার তার ছাত্রী প্রিয়াঙ্কাকে বিয়ে করছে পরাগ। এই সময় বিয়ের দিন হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়ে পরাগ। ডাক্তার এলে বোঝা যায়, তার শরীরে বিষক্রিয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রতীক্ষা পরাগকে গায়ে হলুদের জন্য ডাকতে গিয়ে দেখে, সে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তারপর প্রতীক্ষা চিৎকার করতে করতে নেমে আসে। সবাইকে সে পরাগের এই অবস্থার কথা বললে মধুবালা তার ছোট ছেলে পলাশকে বলে, সে যেন তার দাদাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু পলাশ পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দেয় যে, যতক্ষণ না পুলিশ আসছে আর শিমুলকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে, ততক্ষণ সে পরাগকে কোত্থাও নিয়ে যাবে না।
এমন সময়, পুলিশ এলে প্রতীক্ষা পুলিশকে এমন ভাবে গোটা ঘটনাটা ব্যখ্যা করে যাতে সমস্ত প্রমান শিমুলের বিরুদ্ধে চলে যায়। শিমুল পুলিশকে জানায় যে, সে এই কাজ করেনি। তবুও তার কথায় বিশ্বাস করে না সেখানে উপস্থিত কেউই। এমনকি মধুবালাও তাকে খানিকটা অবিশ্বাসই করে। কিন্তু বিপাশা ও পুতুল জানায় যে, কেউ থাকুক আর না থাকুক তারা সবসময় শিমুলের পাশে আছে।
তারপর দেখা যায় সবাই হাসপাতালে এসে উপস্থিত হয়। কিন্তু প্রতীক্ষা থানায় গিয়ে পুলিশকে অনুরোধ করে যাতে তারা শিমুলকে গ্রেফতার করে। কিন্তু অফিসার জানায় যে শিমুলকে গ্রেফতার করার জন্য যে যে প্রমাণের প্রয়জন তা এখনও পুলিশ পায়নি। তাই এই মুহূর্তেই শিমুলকে গ্রেফতার করা যাবে না।
আরো পড়ুন: দম্ভ ভেঙে চুরমার! অর্জুনকে উপেক্ষা করে আত্মসম্মান ভুলে মেয়ের চিকিৎসার জন্য সূর্যর কাছে হাত পাতল দীপা
অন্যদিকে, প্রতীক্ষা পুলিশ নিয়ে হাসপাতালে হাজির হয়ে যায়। আর গিয়ে দেখে প্রিয়াঙ্কা ও তার পরিবারও সেখানে পৌঁছে গিয়েছে। তারা সবাই দোষারোপ করে শিমুলকে। এরপর পুলিশ মধুবালা দেবীকে জিজ্ঞাসা করেন তিনি কাউকে সন্দেহ করছেন কিনা। নিজের অসংলগ্ন কথাবার্তার দ্বারা সে বুঝিয়ে দেয় যে সেও মনে করে, পরাগকে বিষ দিয়ে মা’র’তে চেয়েছে শিমুলই।