জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথায় (Kar Kache Koi Moner Kotha) আসছে একের পর এক চমক। শতদ্রুর বিয়ে, পরাগের বিয়ের দিন দু’র্ঘট’না, শিমুলের পরাগকে বি’ষ খাওয়ানোর অভিযোগে গ্রেফতারি, শতদ্রু বিয়ে ছেড়ে শিমুলকে বাঁচাতে যাওয়া। শতদ্রুর বিরুদ্ধে রূপরেখার পুলিশের কাছে, তাকে ঠকানোর বিরুদ্ধে অভিযোগ। সমস্যা যেনও ছাড়ছেই না শিমুলকে। প্রতীক্ষার কথায় ওদিকে মধুবালা দেবীও এখন শিমুলের বিরুদ্ধে সবর হয়েছেন। তারও দাবি শিমুলের শাস্তি।
পুতুল মধুবালা দেবীকে শিমুল নির্দোষ বোঝানোর চেষ্টা করলেও বিশ্বাস করেননি তিনি। পরাগকে বলেছেন ভালো উকিল ঠিক করতে শিমুলকে যেনও কেউ ছাড়াতে না পারে। তবে ধারাবাহিকে ইতিমধ্যেই ঘটে গেছে এক দুঃঘটনা। সকালে চা বিস্কুট খেতে চাওয়ায় পুতুলকে অপমান করে প্রতীক্ষা। পরিষ্কার জানিয়ে দেয় এত খরচ চালাতে পারবে না সে। তাই খাওয়া কমাতে হবে পুতুলকে। মধুবালা দেবীকেও বলে রান্না করতে শুধু তাদের জন্য।
প্রতীক্ষার ধাক্কাতে টেবিলে চোট পায় পুতুল। তখন কিছু বোঝা না গেলেও পরের দিন সকালে পুতুলকে ডাকলেও সারা দেয়না সে। তাই তার ঘরে ডাকতে গিয়ে মধুবালা দেবী বুঝতে পারেন পুতুলের জর এসেছে। থার্মোমিটার দিয়ে তিনি দেখেন পুতুলের ১০৪ জ্বর উঠে গেছে। কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। মধুবালা দেবীর কান্না শুনে ঘরে আসে প্রতীক্ষা এবং পলাশ জানতে পারে পুতুল জ্বরে আক্রান্ত। চোখ মুখ ফেসাসে হয়ে গেছে তার। চোখ উল্টে জ্বরের ঘোরে শিমুলের নাম নিচ্ছে সে। কিন্তু প্রতীক্ষা জানিয়ে দেয় শিমুল এই বাড়িতে আসবে না।
মধুবালা দেবী পলাশকে ডাক্তার ডাকতে বললে কেউ সেই বিষয়ে গুরুত্ব দেয় না। এমনকি তুতুলদের বাড়িতেও কিছু জানতে বারণ করে তারা। মধুবালা দেবী বুঝতে পারেন এইভাবে ডাক্তার না দেখলে পুতুলকে আর বাঁচানো সম্ভব হবে না তার পক্ষে। কান্নায় ভেঙে যায় তার মন। তবে কি পারবে মধুবালা দেবী পুতুলকে বাঁচাতে নাকি। তার দোষেই মৃত্যু হবে তারই মেয়ের। জানা যাবে আগত পর্বে।