বাংলার একজন প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী মালবিকা সেন (Malabika Sen)। ভারতনাট্যম কুচিপুড়ি নৃত্যে তাঁর অসাধারণ দক্ষতা। নৃত্যের তালের পাশাপাশি তিনি অভিনয় জগতেও যথেষ্ট পারদর্শী। বেশ কিছু ছবি এমনকি ধারাবাহিক কেউ দেখা গিয়েছে মালবিকা সেনকে। সম্প্রতি জি বাংলায় সম্প্রচারিত ‘ইচ্ছে পুতুল’ (Ichche Putul) ধারাবাহিকের একটি চরিত্রে দক্ষতার সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন তিনি।নিজের জীবন নিয়ে অকপট মালবিকা। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে নিজের জীবন সম্বন্ধে এক ঝাঁক কথা তুলে ধরেন অভিনেত্রী।
অভিনয়, নৃত্য,- সহ শিল্প জগতের নানান দুনিয়ায় অবাধ বিচরণ শিল্পী মালবিকা সেনের। সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, একটা সময় ছিল যখন তিনি দিনের চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে কুড়ি ঘন্টা কাজের মধ্যে ডুবে থাকতেন। বলাই বাহুল্য চরম ব্যস্ততার মধ্যে একটি রুটিন জীবন পার করে এসেছেন তিনি। বর্তমানে কিছুটা ব্যস্ততা কমেছে, তবে তিনি বলতে দ্বিধা করেন না, কাজের মধ্যে থাকতেই তাঁর ভালো লাগে।
জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হল বিবাহ। নিজের বিবাহিত জীবন নিয়েও অকপট উক্তি দিয়েছেন শিল্পী মালবিকা। তিনি বলেন, তাঁর স্বামী তাঁর চেয়ে দশ বছরের বড় ছিল। তবে কখনও কখনও তিনি শিশুদের মতো আচরণ করতেন। তখন তাঁকে দুহাতে আগলে রাখতেন মালবিকা। শুধু তাই নয়, শিল্পী বলেন তাঁর স্বামী তার কোলেই মারা গিয়েছিলেন। সেই সময় সামনে কেউ ছিল না।
প্রত্যেকটি মেয়েরই স্বপ্ন থাকে সন্তানের মা হবেন। মালবিকা সেন কোন বায়োলজিক্যাল মাদার নন, তবে তিনি মনে করেন, একজন মেয়ে যখন বড় হয়ে ওঠে তাঁর মধ্যে প্রকৃতির নিয়মেই মাতৃত্ব গড়ে ওঠে। মানবিক সেরকমই একজন মা। তাঁর আঁচল আসলেই ভর্তি। যাঁদের তিনি ভালবাসেন, তাঁদের দুহাতে সন্তানের মত আগলে রাখেন। বর্তমানে মা-বাবাকে নিয়েই তাঁর জীবন অতিবাহিত হচ্ছে। বলা যায়, বৃদ্ধ মা-বাবাই তাঁর সন্তান।
আরো পড়ুন: মারণ রোগে কাহিল শরীর! “ভগবান আমায় একটা অন্য শরীর দিতে পারতেন” আক্ষেপ শিল্পী স্বাগতালক্ষ্মীর
নৃত্যশিল্পী থেকে অভিনয়ে আসার পথটা বাছলেন কেন? মালবিকা সেন স্পষ্ট জানান, অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে নিজেকে নিংড়ে বের করে আনা যায়। একাধারে পরিবার, মা বাবা, নিজের জীবন, কাজও অবসর সময়। স্বামীর চলে যাওয়ার পর একটা অদ্ভুত শূন্যতা গ্রাস করেছিল তাঁকে, প্রায় ছয় মাস শোকের মধ্যে থাকলেও ধীরে ধীরে যন্ত্রণা কাটিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিনি। এখন কাজ নিয়ে বেশ আছেন। নিজের জীবন টাকে নিজের মতো করেই উপভোগ করতে চান শিল্পী মালবিকা।






“আগে মা-বাবারা গল্প পড়ে শোনাতেন, এখন বাচ্চারা বিরক্ত করলেই মোবাইল ধরিয়ে দেয়!” “বাচ্চারা চুপ করলেও জ্ঞানের বিকাশ কি হয়?”— বর্তমান প্রজন্মের অভিভাবকদের সংবেদনশীলতা নিয়ে খোঁচা শ্রীকান্ত আচার্যের! প্রজন্মের বদলে যাওয়া শিক্ষার ধরণেও কি খেদ পড়ছে?