একেবারে জমে উঠেছে অনুরাগের ছোঁয়া। টিআরপি হিট করতে এবং প্রথম স্থান দখল করতে সিরিয়াল নির্মাতারা কোন কসুর রাখতে চাইছে না। আর তাইতো প্রতিটা পর্ব হয়ে উঠেছে আকর্ষণীয় দর্শকদের কাছে। এই মুহূর্তে সে আকর্ষণ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে সূর্য এবং দীপার পুনর্মিলন। বহু রাগ এবং টালমাটাল পরিস্থিতির পর অবশেষে চার হাত এক হলো আবার। সেই সঙ্গে সেনগুপ্ত বাড়িতে ফিরে এলো দুই নাতনি সোনা এবং রুপা।
সূর্য দীপা এক
সুখেরই লগনে সত্যি হলো যে দুজনের ভালোবাসা। প্রকৃত ভালোবাসা যে কখনোই ব্যর্থ হয় না এবং দুজন প্রকৃত ভালবাসলে সেই প্রেমিক-প্রেমিকাকে যে আলাদা করা যায় না তার প্রমাণ দিল সূর্য আর দীপা। এত বছর ধরে দুজন আলাদা এবং সেটা শুধুমাত্র সূর্যের বেস্ট ফ্রেন্ড মিশকার ভুল বোঝানোর কারণে। কারণ সূর্য এতদিন জানত সোনা তার সন্তান নয় বরং সোনা হল দীপার সঙ্গে পর পুরুষের প্রেমের সম্পর্কের ফল। তবে অবশেষে ডিএনএ রিপোর্ট সূর্য হাতে পায় এবং সমস্ত শক্তিটা জলের মতো পরিষ্কার হয়ে যায় তার চোখের সামনে।
মিশকা প্রেগন্যান্ট
তবে এবার দুজনকে আলাদা করতে এক মোক্ষম প্ল্যান বানিয়েছে মিশকা। সে সূর্যর শু ক্রাণু নিজের শরীরে প্রবেশ করিয়ে গর্ভবতী হয়েছে। অর্থাৎ দেখতে গেলে সূর্যর সন্তানের মা হতে চলেছে সে। এই কথা দীপার বাড়ি ফিরে আসা উপলক্ষে হওয়া অনুষ্ঠানের মাঝে ঘোষণা করে সে। চমকে যায় গোটা সেনগুপ্ত পরিবার। শুধু নিলিপ্ত থাকে দীপা কারণ সে বিশ্বাস করে তার ডাক্তারবাবু এমন গর্হিত কাজ করতে পারে না।
দীপার প্ল্যান
তবে দীপা কিছু কম যায় না। সে মিথ্যে ডিভোর্স পেপার বাড়ি নিয়ে যায় মিশকার। সেখানে গিয়ে সে বলে যে সে সত্যি বিশ্বাস করেছে যে মিশকা প্রেগন্যান্ট এবং তাই সে এবার সূর্য আর মিশকার মাঝখান থেকে সরে যাবে। আর তখন দীপা ছিল লাইভে। তাই তাদের মধ্যে যা কথোপকথন হচ্ছে সেটা সবাই দেখতে পাচ্ছে বাইরে। আর সেটা দেখতে পাই সেনগুপ্ত বাড়ির সবাই। ঠিক তখনই মিশকা বলে ওঠে যে দীপা খুব বোকা আর সূর্যও খুব বোকা আর তাদেরকে বোকা বানিয়েছে সে। সে যদি আগে জানতো যদি ব্যাথা তাড়াতাড়ি সব কিছু ছেড়ে দেবে তাহলে সে এত কষ্ট করত না আর দীপা এবং সূর্যের মাঝখানে ব্যবধান আনতে মিথ্যে ডিএনএ রিপোর্ট সূর্যকে দেখাতো না। অবশেষে এগুলো দেখে সূর্য বুঝতে পারে সে এতদিন বন্ধু ভেবে ভুল বিশ্বাস করেছিল একজনকে।
মিশকা করতে চায় সুইসাইড
এরপর দীপা বলে দেয় যে আসলে এটা তার প্ল্যান ছিল এবং গোটা দুনিয়া মিশকাকে দেখে নিয়েছে এবং তার মুখোশ খুলে গেছে। আর ঠিক তারপর সেনগুপ্ত বাড়িতে সূর্য-দিপার বিয়ের প্রস্তুতি চলছে এবং তার মাঝে মিশকা ছুটে যায় তার বসের কাছে। সেখানে গিয়ে এসে বলে সে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হবে এবার কারণ সে কুমারী মেয়ে এবং গর্ভবতী তাই সমাজটাকে যে নজরে দেখবে এবং অপমান করবে সেটা সে সহ্য করতে পারবে না। এতে তার বস চমকে যায় এবং তাকে শান্ত হতে বলে। এর বিনিময়ে মিশকা একটা শর্ত দেয় যে তার স্যারকে সূর্যকে ডিএনএ টেস্ট করাতে বাধ্য করতে হবে। তাতে রাজি হয় মিশকার বস। অর্থাৎ আবার নতুন ঝড় আসছে।