টানা দেড় বছর হতে চলল তবে এই ধারাবাহিকের জায়গা অন্য কেউ নিতে পারবে না এটা প্রমাণ করে দিয়েছে দর্শকরা এবং সেটা বুঝে গেছে অন্যান্য ধারাবাহিকের নির্মাতারা। বুঝতেই পারছেন আমরা কার কথা বলছি? হ্যাঁ, সুখে দুঃখে মিষ্টি মুখে মিঠাই। সেই মিঠাই রানীর মতো মিষ্টি মেয়ে আর হয় নাকি?এমনটাই বক্তব্য ভক্তদের।
যদিও এই মুহূর্তে টিআরপির দিক দিয়ে মিঠাইয়ের স্থান একটু নিচে নেমে গেছে তবে জনপ্রিয়তা নিরিখে সে বরাবর সেরা ছিল এবং সেরা আছে। মিঠাই রানী আর উচ্ছে বাবুর প্রেম খুনসুটি সব মিলেমিশে একেবারে অন্যরকম একটা সিরিয়াল হয়ে উঠেছে মিঠাই। তার উপর একান্নবর্তী মোদক পরিবার সেই আনন্দ ডবল করে দিয়েছে।
তবে এগুলো তো চলতেই থাকে তাই আজ আপনাদের একটা অন্যরকম বিষয় জানাবো। শিরোনাম পড়ে হয়তো কিছুটা অনেকেই আন্দাজ করে নিয়েছে তবুও গোটা বিষয়টা তো জানতে হবে নাকি? তাহলে বাকিটা চটপট পড়ে ফেলুন।
এবার মিঠাই ভক্তদের জন্য সোনায় সোহাগা। এতদিন উচ্ছে বাবুর নামে মোমো, এগরোল, চিকেন দেখে দেখে মিঠাই ভক্তরা বারবার দাবি করছিল মিঠাই রানীর নামে কবে নতুন কিছু আবিষ্কার হবে? সেটাও চলে এলো। হ্যাঁ, এবার মিঠাইয়ের নামে একটা গোটা মিষ্টির দোকান। গতকাল থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি ভাইরাল হয়ে গেছে যেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে মিঠাই নাম লেখা রয়েছে মিষ্টির দোকানের। আর দোকানের ট্যাগলাইন হলো সুখে দুখে মিষ্টি মুখে। এরপর তো আর মানুষের বুঝতে বাকি থাকে না তাকে উৎসর্গ করা হয়েছে এই মিষ্টির দোকান।
এর থেকে এটাও স্পষ্ট যে একটা মিষ্টির দোকানের মালিক বা অন্যান্য কর্মচারীরাও মিঠাইকে কী পরিমান ভালোবাসে। তাই তো নিজেদের দোকানের নামই তারা রেখে ফেলল মিঠাই। এরকম কি সত্যিই আর কোন সিরিয়াল নিয়ে হয়েছিল যার নামে দোকানেরই নাম রাখা হয়েছে? মনে করা যাচ্ছে না। ঠিক এখানেই মিঠাইয়ের সার্থকতা। মিঠাই একদিন না একদিন নিশ্চয়ই শেষ হয়ে যাবে কিন্তু উচ্ছে বাবু সন্দেশ, মিঠাই মিষ্টির দোকান থেকে যাবে মানুষের মনে। আর এবার যে এই মিষ্টির দোকানের মিষ্টি কেমন হু হু করে বিক্রি হবে সেটা আলাদা করে বলার প্রয়োজন নেই। আপনি কবে যাবেন?