টিআরপির কাছে হেরে গেল অভিনয়, গল্প! ভাঙল মিষ্টি একটা জুটি! মেয়েবেলা শেষে আবারও ‘মৌঝর’ জুটিকে পর্দায় ফেরানোর দাবি দর্শকদের

শেষ হল মেয়েবেলার পথ চলা। সবার দারুণ অভিনয়, বাস্তবধর্মী গল্প সবকিছু হেরে গেল টিআরপির নম্বরের সামনে। এই ধারাবাহিক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তীব্র আশাহত হয়েছেন দর্শকরা। এই সুন্দর গল্পের এহেন পরিসমাপ্তি মেনে নিতে পারেননি কেউই।

পর্দায় আগমনের সঙ্গে সঙ্গেই দর্শকদের মন জিতে নিয়েছিল এই ধারাবাহিকটি। মৌ-ডোডোর সম্পর্কের রসায়ন, বিথীকা মিত্রের চরিত্রের রাগ দুঃখ-কষ্ট, অন্যান্য চরিত্রগুলির তীব্র বাস্তবধর্মী অভিনয়, সেইসঙ্গে সময়োপযোগী ডায়লগ এই ধারাবাহিককে চোখের নিমেষে জনপ্রিয়তা দেয়।

এই ধারাবাহিকের পথ চলা যখন শুরু হয় তখন এই ধারাবাহিকটিকে ঘিরে দর্শকরা বেশি পরিমাণে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন কারণ এই ধারাবাহিকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র বিথীকা মিত্রের চরিত্রে অভিনয় করছিলেন অভিনেত্রী রূপা গাঙ্গুলী। ‌এই ধারাবাহিকে অভিনয় করতে গিয়ে কটাক্ষ‌ও হজম করতে হয়েছিল স্বর্ণযুগের এই দাপুটে অভিনেত্রীকে।

যদিও এই ধারাবাহিকে নারী নির্যাতন দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে ধারাবাহিক ছেড়ে দেন অভিনেত্রী রূপা গাঙ্গুলী। এবং যাঁরা শুধুমাত্র রূপা গাঙ্গুলিকে দেখবেন বলেই এই ধারাবাহিক দেখা শুরু করেছিলেন বলা যায় তাঁরা ছেড়ে দেন এই ধারাবাহিক দেখা। দর্শক হারায় মেয়েবেলা। যদিও বিথীকা মিত্রর শূন্যস্থান পূরণ করতে আসেন অভিনেত্রী অনুশ্রী দাস। কিন্তু খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি তিনি। টিআরপি তালিকায় ক্রমশ নিম্নমুখী হয়ে পড়ে এই ধারাবাহিক।

যদিও দর্শকরা চেয়েছিলেন পরকীয়া নোংরামি দেখানোর পাশাপাশি বাস্তবধর্মী এই গল্পও যেন টেলিভিশনের পর্দায় দেখানো হয়। উল্লেখ্য, অত্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যেই এই ধারাবাহিকের মূল নায়ক নায়িকা জুটি মৌ এবং নির্ঝর দারুণভাবে জনপ্রিয় হয়েছিলেন দর্শকদের মধ্যে। তাদের দুজনকে একসঙ্গে ‘মৌঝর’ বলে ডাকতেন দর্শকরা। নায়ক ডোডোর চরিত্রে অভিনেতা অর্পণ ঘোষাল এবং নায়িকা মৌয়ের চরিত্রে স্বীকৃতি মজুমদারের অভিনয় দর্শকদের মন ছুঁয়ে গিয়েছিল। এই জুটিকে যেন আবারও পর্দায় ফিরিয়ে আনা হয় এমনটাই দাবি তুলেছেন নেটিজেনরা।

You cannot copy content of this page