জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথায় (Kar Kache Koi Moner Kotha) রঞ্জা তীর্থঙ্করকে বারণ করার শর্তেও পুতুলকে বিয়ে করে তীর্থঙ্কর। পলাশও তখন বলে “আমি হাসপাতালে যাচ্ছে জানি না তোমার ছেলে বেঁচে আছে নাকি। তখন মধুবালা দেবী তাকে চুপ করতে হবে এবং বলে হাসপাতালে গিয়ে দেখতে বলে সব ঠিকঠাক আছে নাকি। সেটা শুনে তুতুল মধুবালা দেবীকে সান্তনা দিয়ে বলে সব ঠিক হয়ে যাবে। তিনি যেন শিমুলের ওপর ভরসা রাখেন আর কার কারুর কথায় যেন শিমুলকে ভুল না বোঝেন।
সেটা শুনে মধুবালা দেবীও বলেন না এই ভুল তিনি তার করবেন না, তিনি আগেও সকলের কথায় অনেকবার শিমুলকে কষ্ট দিয়েছেন কিন্তু আর তিনি সেটা করবেন না। তিনি শুধু চান তার ছেলে সুস্থ হয়ে যাক আর শিমুল আবার তাদের বাড়ির বউ হয়ে ফিরে আসুক। তখন পলাশ আর তুতুল বেরিয়ে যায় হাসপাতালের উদ্দেশ্য। ওদিকে হাসপাতালে শিমুল বিপাশাকে বলে যেন সে চন্দনকে বেশি ভরসা না করে। সেই কথা শুনেই চমকে যায় বিপাশা। সে জিজ্ঞাসা করে কেন সকলে তাকে এইভাবে বারবার বলছে।
আসলে কি সমস্যা হয়েছে, কি তারা বোঝাতে চাইছে কেন সেটা তারা খোলসা করে বলছে না। সে জানে যে সকলেই তাকে ভালোবাসে এবং হয়তো সে যেন কষ্ট না পায় তাই তাকে কিছু বলছে না কিন্তু সে জানতে চায় আসলে কি হয়েছে কি সমস্যা হয়েছে। তখন সুচরিতা বলে এখন আসল কথা থাক। সেই উত্তরে বিপাশাও বলে ঠিক আছে, এই মুহূর্তে সে আর কিছু জিজ্ঞাসা করবে না তবে এইসব মেটার পর তাকে সব সত্যিটা খুলে বলতে হবে সবাইকে।
ডাক্তার চলে আসেন এবং শিমুলকে বলেন অপরেশন থিয়েটার রেডি করা হয়ে গেছে এখন তারা পরাগকে নিয়ে যাবেন অপরেশন জন্য। কিন্তু ঠিক সেই মুহূর্তেই চলে আসে পলাশ। যে ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করে কিসের অপারেশন আর বাড়ির থেকে যখন কেউ আসেনি তখন বন্ড পেপারে সই করল কে? বিপাশা বলে বাড়ির থেকে কেউ না আসায় তারাই শিমুলকে বলেছে বন্ড পেপারে সই করতে কারণ না হলে অপরেশন করতে দেরি হচ্ছিল। সেটা শুনেই আরও রেগে যায় পলাশ।
আরো পড়ুন: অনুরাগের ছোঁয়ায় শয়তান মিশকার এন্ট্রি! সূর্যর জীবনে ঢুকতে জেল থেকে ফেরার সে
পলাশ বলে শিমুল তাদের বাড়ির কেউ নয় তাই কোন অধিকারে সে বন্ড পেপারে সই করেছে। তখন শিমুল বলে তুমি চাইলে আমার সইয়ের নিচে সই করে দিও কিন্তু অপরেশনটা আটকে রেখো না। তখন পলাশ বলে আমি তোমার নামে কেস করব থানার আর এটাই বা কিরকম হাসপাতাল, যে কেউ আসে সই করছে আমি হাসপাতালের নামেও কেস করব। তখন ডাক্তার বললেন শিমুল বলেছেন সে ওনার প্রাক্তন স্ত্রী। তখন পলাশ বলে আমরা মানি না। ওর আইডি দেখেছেন। তখন শিমুল বলে আমি সব জমা করে দেবে দয়া করে অপরেশনটা শুরু করা হোক।
তখনও পলাশ কথা শুনছে না দেখে বিপাশা বলে “যে নিজের দাদাকে বিষ খাওয়ায় তার মুখে এইসব কথা মানায় না।” তখনই চুপ করে যায় পলাশ। ডাক্তার বলে খুব বেশ হলে হয়তো তার ডাক্তারির লাইসেন্স বাতিল হবে তবে তিনি একজন রোগীকে বাঁচাতে পিছুপা হবেন না। তাহলে কি মনে হয় আপনার শিমুল কি পারবে পরাগকে বাঁচাতে।