জি বাংলার (Zee Bangla) ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথায় (Kar Kache Koi Moner Kotha) শিমুলের কেসের শুনানির ২ দিন চলছে। ইতিমধ্যেই কাকিমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে অনির্বাণ। তারপরই ডাকা হয় বিপাশাকে। বিপাশাকে অনির্বাণ নানা প্রশ্ন করতে থাকে অনির্বাণ। বিপাশাকে জিজ্ঞাসা করে শিমুলের সঙ্গে শতদ্রুর সম্পর্কের ব্যাপারে। বিপাশা জানিয়ে দেয় শতদ্রু শিমুলের কলেজ থেকে বন্ধু। শিমুলের বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর তাদের মধ্যেই কোনও সম্পর্ক ছিল না, পরে শিমুল, বিপাশা, শির্ষা এবং সুচরিতা সকলে মিলে একটা দল তৈরি করে।
তাদের গানের অনুষ্ঠান এনে দিত শতদ্রু। সেই সূত্রেই তারা সকলে একসঙ্গে বন্ধুর মতো থাকতেন। সেইসময় অনির্বাণ বলে যে তার মানে শিমুল তার প্রেমিক শতদ্রুর সঙ্গে থাকার জন্যই পরাগকে বিষ দিয়েছে। তখন বিপাশা বলে একদম তাই নয়, কারণ শিমুল আর পরাগের ডিভোর্স হয়ে গেছিল। পরাগ শিমুলে ডিভোর্স দিয়েছিল প্রিয়াঙ্কাকে বিয়ে করার জন্য। তাই শিমুলের কোনও স্বার্থ নেই এখানে, তার কোনও লাভ হবে না পরাগকে মেরে। তখন আরাধনাও বলে সে অনির্বাণ হয়তো ভুলে গেছে কারুর ওপর অভিযোগ আনতে গেলে প্রমাণ লাগে।
তখন অনির্বাণ বলে শিমুল এই সম্পর্ক ভাঙতে চেয়ে ছিল তখন বিপাশা বলে যে প্রিয়াঙ্কা পড়তে আসতো পরাগের কাছে। তখনই পরাগের সঙ্গে তার একটা সম্পর্ক তৈরি হয় সেই কারণেই পরাগ শিমুলকে ডিভোর্স দিয়েছিল যাতে তাড়াতাড়ি প্রিয়াঙ্কাকে বিয়ে করতে পারে। এমনকি মধুবালা দেবীও তাকে বাধা দিয়েছিল ডিভোর্সের জন্য কিন্তু সে শোনে নি। আর যদি শিমুলের কিছু করার হত সে আগে করতো ডিভোর্স নিয়ে পরাগকে কেন মারতে চাইবে ও।
ওখন অনির্বাণ তাকে বলে আপনি একটি বেশি মিথ্যে কথা বলছেন তখন বিপাশা বলে আমি কেন মিথ্যা বলতে যাবে আমার তাতে কি লাভ, আমরা সকলেই এখানে সত্যি জানতে এসেছে আর মিথ্যে বে শিমুলকে জেল খাটতে দেবো না আমরা। আর ভবিষ্যতে এইভাবে অপমান করবে না আমায় কারণ আমি সেটা সহ্য করবো না আমি চাইলে আপনার নামে মানহানির মামলা করতেই পারি। সেই কথা শুনে চুপ হয়ে যায় অনির্বাণ। তারপর অনির্বাণ বিপাশাকে যেতে বলে আর জর্জকে বলে এবার তিনি এমন একজন মানুষকে ডাকতে চান যে এই কেসে ভিক্টিম। তারপর চলেছে মানসিক এবিং শারীরিক অত্যাচার।
এইবলে তিনি কাঠগড়ায় ডাকে পরাগকে। পরাগকে জিজ্ঞাসা করা হয় শিমুলের সঙ্গে তার সম্পর্কের ব্যাপারে। প্রশ্নটি শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। তখন আরাধনা বলে তিনি কোর্টের সময় নষ্ট করছেন তাই তিনি কথা বলতে পারবেন কিনা বলে দিতে। তখন পরাগ বলে তিনি কথা বলতে পারবেন। এই উত্তরে পরাগ বলে তার সঙ্গে শিমুলের অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ হয়েছিল। তিনি সবসময় শিমুলের সঙ্গে একটি সাধারণ স্বামী স্ত্রী সম্পর্ক চেয়েছিলেন সেটাতে শিমুল রাজি হয়নি। সে সবসময় পরাগের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করত। পরে সে জানতে পারে শিমুলের সঙ্গে সম্পর্ক আছে শতদ্রুর।
আরো পড়ুন: বাবা মেয়ের সম্পর্ক নিয়ে রটেছিল কুকথা! ভালোবাসা পেলেও কখনই আইনি স্বীকৃতি পাননি উত্তম কুমারের দত্তক কন্যা সোমা চৌধুরী! জানুন এক অজানা কাহিনী
তিনিও একটি সাধারণ জীবন সঙ্গী চেয়েছিলেন তার প্রিয়াঙ্কাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন কিন্তু বিয়ের দিনই তাকে মারার চেষ্ঠা করা হয়। তখন সেই বিষয়ে আরাধনা বলে তিনি জানান এই কাজটা প্রতীক্ষা আর পলাশ করেছে, যাতে তারা শিমুলকে বাড়ি থেকে তাড়াতে পারে। সেই ব্যাপারে অনির্বাণ প্রমাণ চাইলে আরাধনা বলেন তার কাছে প্রমাণ আছে। তাহলে কি। মনে হয় আপনাদের কি প্রমাণ দেবে আরাধনা প্রতীক্ষা আর পলাশের বিরুদ্ধে?