বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে যেখানে সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত জীবনই ব্যক্তিগত নয়, সেখানে বিনোদন জগতের তারকাদের সংবাদ বারবার নজর কেড়েছে দর্শকদের। বাংলার স্বনামধন্য গায়ক, সঙ্গীত পরিচালক, সংগীতস্রষ্টা, সুরকার অনুপম রায়। টলিউড থেকে বলিউড সঙ্গীত জগতে তার খ্যাতি আর জনপ্রিয়তা ছড়িয়েছে সাত সমুদ্র পারেও। তবে শুধু তার সঙ্গীত জীবনী নয়, তার ব্যক্তিগত জীবনও বহু বার জায়গা করে নিয়েছে সংবাদপত্রের শিরোনামে।
২০১২ সালে চলো পাল্টাই সিনেমার হাত ধরেই জনপ্রিয়তা লাভ করেন তিনি। তারপর বলিউডের পিকু, পিঙ্ক, ফ্যান, কাহিনী থেকে শুরু করে টলিউডের দ্বিতীয় পুরুষ, দশম অবতার, বাইশে শ্রাবণ, অটোগ্রাফ, প্রাক্তন, হেমলক সোসাইটি, বেলাশেষে, দৃষ্টিকোণ, অর্ধাঙ্গিনী, জুলফিকার সহ একদিক সিনেমায় সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন তিনি। তবে তার সিনেমার গানগুলির মতো বৈচিত্র্যময় তার ব্যক্তিগত জীবনও।
শুরু কাঞ্চন মল্লিক নয় এই বছর তৃতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন তিনিও। সংবাদটি প্রকাশ আসার পর থেকেই হয়ে উঠেছে চর্চার বিষয়। তিনি প্রথমবার বিয়ে করেন শিল্পী শ্রেয়া চ্যাটার্জীকে। এই দম্পতির একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে যার নাম শ্রীজাহ্নবী। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ডিভোর্সের হাত ধরেই পৃথক হয়ে যান এই দম্পতি। তারপর ২০১৫ সালে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তার অনেকদিনের ঘনিষ্ট বান্ধবী এবং প্রেমিকা পিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে। বেশ ভালোই চলছিল তাদের দাম্পত্য জীবন, তবে শেষ অব্দি টিকে থাকতে পারলো না সারাজীবনের জন্য। ২০২১ সালেই কোনো ব্যাক্তিগত কারণে সম্পর্কে ইতি টানেন টলিউডের গায়ক এবং সঙ্গীত পরিচালক অনুপম রায়।
আরও পড়ুন- স্টার জলসার নতুন ধারাবাহিক লক্ষ্মীমন্ত! কোন অভিনেত্রী ফিরছেন? জানলে চমকে যাবেন
সম্প্রতি তার প্রাক্তন স্ত্রী পিয়া চক্রবর্তী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। রেজিস্ট্রির মাধ্যমে তারা সেরে ফেলেছেন বিয়ে। সেই সংবাদ শুনেই ঝড় ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পরমব্রত ও অনুপম রায় একে অপরের ঘনিষ্ট বন্ধু হওয়ার কারণেই সমালোচনাটি নিয়েছে আরও বিরাট আকার। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল করা হয় পরমব্রত এবং পিয়া দুজনকেই। “মানুষ অনেককিছুই চুরি করে শুনেছি, বন্ধুরাও একে অপরের জিনিস নিয়ে নেয় তবে বন্ধুর বউ চুরি একটা কখনও দেখিনি।” এই ধরনেরই কটূক্তি শোনা যায় পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের ব্যাপারে।
যদিও এই বিষয়ে মুখ খোলেননি পিয়া ও পরমব্রত। তবে সম্প্রতি জানা গেছে গায়ক অনুপম রায় আবার বিয়ে করতে চলেছেন। পাত্রী গায়িকা প্রশ্মিতা পাল। কিন্তু এইবার নেটিজেনদের তরফ থেকে দেখা যাচ্ছে পৃথক প্রতিক্রিয়া। সকলেই অভিনন্দন জানিয়েছেন এই হবু দম্পতিকে। কিন্তু স্ত্রী বিয়ে করলে সেটা কটাক্ষ, কিন্তু স্বামীর বিয়েকে শুভেচ্ছার বন্যা কেন? এক যাত্রায় কেন পৃথক ফল দেখা যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই প্রশ্ন জেগেছে অনেকেই মনে। অনেকেই অনুপম আর প্রশ্মিতার বিয়ের সংবাদটি শুনে লিখেছেন “শুধু শুধু পরমব্রতকে খারাপ কথা বললাম।”
কেন স্বামীর জীবনেই পৃথকভাবে বাঁচার অধিকার আছে কিন্তু স্ত্রীর নেই! কেন এই সমাজ আজও এতটা পিছিয়ে! সবসময় কেন শুধু মহিলাদেরই বিয়ে নিয়ে ছোট করা হয়? কেন তাদের ক্ষেত্রেই একবার বিয়ে ভাঙার পর নতুন করে জীবনটাকে শুরু করা অপরাধের। এখন সময় এসেছে এই বিষয়টি নিয়েও ভাবার। মেয়ে হোক বা ছেলে প্রত্যেকেই অধিকার আছে নিজের ভালোরাখার এবং ভালো থাকার। প্রত্যেকেরই সমান সম্মান নিয়ে বাঁচতে অধিকার আছে এই সমাজে। আপনার এই বিয়ে কি মত?